‘জাহাজবাড়ি’র মালিকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

রাজধানীর কল্যাণপুরের তাজ মঞ্জিলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পাঁচ মাসের মাথায় পুলিশের কাজে বাধা ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাড়ির মালিক হাজী মো. আতাহার উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2016, 04:01 PM
Updated : 27 Dec 2016, 04:01 PM

জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মূল মামলার তদন্ত শেষ না হলেও জাহাজবাড়ি হিসেবে পরিচিত ওই বাড়ি জঙ্গিদের কাছে ভাড়া দেওয়ার ঘটনা তদন্ত করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

গত ২৩ নভেম্বর এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাজ্জাদ হোসেন দণ্ডবিধির  ১০৭, ১৮৭, ৩৩২, ৩৫৩ ও ৩৪ ধারায় এ অভিযোগপত্র জমা দিলেও বিষয়টি একমাস পর মঙ্গলবার জানা যায়।

এ মামলায় অভিযোগপত্র জমা হওয়ার বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আলতাফ হোসেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যে মূল মামলা, সেটির তদন্ত শেষ হয়নি। একারণে ওই মামলায় অভিযোগপত্রও জমা পড়েনি।

পুলিশের কাছে বাধা ও তথ্য গোপনের মামলায় জাহাজবাড়ির মালিক ছাড়া তার স্ত্রী মমতাজ পারভীন, ছেলে মাজহারুল ইসলাম, তাদের সহযোগী মাহফুজুল তৌফিক, মমিন উদ্দিন ও জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

অভিযোগপত্রে বাড়ির মালিক আতাহার উদ্দিনকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা।

অভিযোগপত্রে বলা হয় , ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই মিরপুরের উপ-পুলিশ কমিশনার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মিরপুর মডেল থানাধীন কল্যাণপুর ৫ নম্বর রোড়ের ৫৩ নম্বর জাহাজবাড়িতে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি আছে কিনা তল্লাশি করতে যান।

এসময় বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বিবাদী মমতাজ পারভীনসহ চারজন পুলিশের কাজে বাধা দেন।

পরে জঙ্গি আস্তানা টের পেয়ে সেখানে পরিচালিত অভিযানে সন্দেহভাজন নয় জঙ্গি মারা যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন আটক হলেও পালিয়ে যায় আরও একজন। তারা সবাই নব্য জেএমবির সদস্য বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

এ ঘটনায় ২৭ জুলাই রাতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে একটি মামলা করলেও বাড়ি ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে তথ্য গোপন ও পুলিশের কাজে বাধার অভিযোগে মামলাটি করা হয় ১ অগাস্ট।

মিরপুর মডেল থানার এসআই বজলার রহমানের দায়ের করা এই মামলার আসামি জাহাজবাড়ির মালিককে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।