মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে, আগামী বুধবার আদেশ দেবে হাই কোর্ট।
Published : 16 Jan 2017, 03:49 PM
জামিন আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চ আদেশের দিন ঠিক করে।
এদিনই টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ রানাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। রানার সঙ্গে আসামি তার তিন ভাইকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয় ক্ষমতাসীন দলের জেলা কমিটির সভায়।
জামিন আবেদন নিয়ে হাই কোর্টে রানার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার ও বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তাকে সহযোগিতা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী টিকু।
আমিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমানুর রহমান খান রানার জামিনের বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি হয়েছে। তাকে যে দল থেকে (আওয়ামী লীগ) বহিষ্কার করা হয়েছে, শুনানিতে সেটিও তুলে ধরা হয়েছে। শুনানি নিয়ে আদালত ডে আফটার টুমোরো আদেশের জন্য রেখেছেন।”
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ রানার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল।
তার আগে গত ২৮ নভেম্বরও সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রানার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়।
তারও আগে গত বছরের ৯ অক্টোবর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ ক্ষমতাসীন দলের এই এমপির জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়।
আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমানুর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয় বিচারক। রানা বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।
এরপর রানা জামিন আবেদন করলে ২৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া তার জামিন নাকচ করে আদেশ দেয়।
বিচারিক আদালতে জামিন নাকচের পর হাই কোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।