বিএনপি দাবি করলেও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কথা আপাতত ভাবছে না নির্বাচন কমিশন।
Published : 22 Nov 2016, 08:57 PM
সেনা মোতায়েন না হওয়ার কারণ দেখিয়ে এই সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি এবার অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঙ্গে একই দাবি পুনরায় জানায়।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অবশ্যই সেনা মোতায়েন চাই।”
তার দাবির বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নারায়ণগঞ্জ সিটিসহ সারাদেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ বেশ ভালো রয়েছে। সেনাবাহিনী দেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।”
এ পরিস্থিতি নারায়ণগঞ্জে সেনা মোতায়েনের ‘আপাতত কোনো ভাবনা নেই’ বলে জানান তিনি।
“সামনে আইন শৃঙ্খলা বৈঠক রয়েছে; তাতে সব সংস্থা ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে। তখন এসব বিষয়ে আলোচনা হবে,” বলার সঙ্গে ইসি সচিব বলেন, “পরিস্থিতি এমন নেই যে সেনা মোতায়েন করতে হবে।”
আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
আগে নির্দলীয়ভাবে হলেও আইন সংশোধনের পর সিটি নির্বাচন দলীয়ভাবে হওয়ায় আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সব দলের প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াই নামবেন।
সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হলেও স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে কাজে লাগাতে বরাবরই অনাগ্রহী বর্তমান ইসি; যদিও প্রতিটি নির্বাচনের আগেই সেনা মোতায়েনের দাবি তুলে আসছে বিএনপি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার দাবিও সম্প্রতি তুলেছেন, যার সমালোচনা করছেন অনেকে।
সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই আইন শৃঙ্খলা মোতায়েন করা হয়ে থাকে।
“সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও সুন্দর রাখতে যখন যেখানে যে ব্যবস্থা দরকার, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাধারণত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পার হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বৈঠক করে ইসি। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে এ বৈঠক হতে পারে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
নারায়ণগঞ্জে ভোটের আগে-পরে চার দিনের জন্য নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত রাখা হতে পারে।
২০১১ সালের নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না হলেও র্যাব, পুলিশ, বিজিবি’র সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়।