গুলশান হামলায় গ্রেনেড ‘দিয়েছিল সোহেল’

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় সোহেল মাহফুজ নামে একজনের গ্রেনেড সরবরাহের তথ‌্য পাওয়ার কথা বলেছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটি)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2016, 12:36 PM
Updated : 3 Sept 2016, 02:29 AM

ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম শুক্রবার মিন্টু রোডের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, গুলশানে ব্যবহৃত গ্রেনেড সোহেল মাহফুজ নামে এক জঙ্গি সরবরাহ করেছিলেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির প্রতিষ্ঠাকালীন শুরা সদস‌্য সোহেল মাহফুজ বছর দুই আগে ‘নতুন জেএমবিতে যোগ দেন এবং ‘আত্মগোপনে রয়েছেন’ বলেও জানান তিনি।

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে জঙ্গিরা। খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে গিয়ে গ্রেনেড হামলায় মারা যান পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরদিন অভিযান চালিয়ে রেস্তোরাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। এর আগেই ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত‌্যা করে জঙ্গিরা।

সোহেল মাহফুজের সন্ধানে অভিযান চলছে জানিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, “এই হামলায় মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী আর নুরুল ইসলাম মারজান রেকির দায়িত্ব পালন করেছিল। আর এই পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গ্রেনেড সরবরাহ করেছে সোহেল মাহফুজ।”

গুলশান হামলার ‘হোতা’ ‘নতুন জেএমবি’র শীর্ষনেতা তামিম আহমেদ চৌধুরী নারায়ণগঞ্জে এক অভিযানে নিহত হলেও নজিরবিহীন ওই ঘটনার ‘আরেক হোতা’ নুরুল ইসলাম মারজানের সন্ধান এখনো মেলেনি।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান বলেন, মারজান নব্য জেএমবির সদস্য হলেও সোহেল মাহফুজ জেএমবির প্রতিষ্ঠাকালীন শুরা সদস্য।

“দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা সোহেল গত দুই বছর আগে নব্য জেএমবিতে যোগ দেয় বলে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছে।”

মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশান হামলার আরও আগে থেকেই জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত ছিল সোহেল মাহফুজ।

সোহেল নিখোঁজ রয়েছেন জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন বলেন, তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।