যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাদের আইনজীবীরা।
Published : 04 Aug 2016, 02:10 PM
তাদের অন্যতম আইনজীবী চৌধুরী মো. গালীব রাগীব বলছেন, সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম বৃহস্পতিবার তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যান। কিন্তু গাড়ি থেকে নামার পরপরই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের নিচ থেকে ‘ডিবি পুলিশ পরিচয়ে’ হুম্মামকে নিয়ে যাওয়া হয়।
“ফারহাত কাদের চৌধুরীকে তারা বলেছে – ‘আপনি কোনো কথা বলবেন না, আমাদেরকে আমাদের কাজ করতে দিন’।”
পরে ফারহাত কাদের ওই মামলায় হাজিরা দেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান রাগীব।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধের রায় ফাঁসের অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দ্বিতীয় দিন ছিল বৃহস্পতিবার।
আসামিপক্ষের প্রধান আইজীবী আমিনুল গণী টিটো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ঘটনাটি ঘটেছে... আমি জানি। বিচারককে এ বিষয়ে আমি অভিযোগ জানাব।”
তবে হুম্মামকে পুলিশ আটক করেছে কি না, আটক করা হলে তাকে কোথায় নেওয়া হয়েছে, এসব বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মো. মাসুদুর রহমান রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হুম্মাম পুলিশ হেফাজতে নেই।”
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীর ফাঁসির রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু তার আগেই ইন্টারনেটে সেই রায় প্রকাশ হয়ে যায়।
এই ঘটনায় সাকার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলাম সহ সাত জনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলার করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগ।
মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে হুম্মামদের পারিবারিক বন্ধু পরিচয় দিয়ে সায়েম নামের একজন বলেন, তিনিও ওই গাড়িতে ছিলেন।
“ছয়জন গাড়ির গতিরোধ করে। হুম্মামকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ডিবির পরিচয় দেয়।”
হুম্মামকে ডিবি কার্যালয়েই রাখা হয়েছে বলে ধারণা সায়েমের।