রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত মুকুল রানার শ্যালক বিএম মুজিবুর রহমানকেও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলছে গোয়েন্দা পুলিশ।
Published : 21 Jun 2016, 10:03 PM
ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, গত ১২ এপ্রিল ফরাশগঞ্জ থেকে ইদি আমিন নামে আরেকজনের সঙ্গে গ্রেপ্তারের পর মুজিবুর বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
তবে পরিবারের দাবি, এপ্রিলে নয়, মুকুলকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ১৭ দিন পর ১১ মার্চ মুজিবুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খিলগাঁও মেরাদিয়া বাঁশপট্টি এলাকায় শনিবার মধ্যরাতে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ‘সন্ত্রাসীদের’ গোলাগুলিতে মুকুল নিহত হন।
পুলিশ নিহত ব্যক্তির নাম ‘শরীফুল’ জানিয়ে তাকে লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করে।
দুইদিন পর সোমবার ঢাকায় লাশ নিতে এসে নিহত যুবকের ভগ্নিপতি ও চাচাতো ভাই তার নাম মুকুল রানা বলে জানায়।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, গত ১২ এপ্রিল ফরাশগঞ্জ এলাকা থেকে মুজিবুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গে ইদি আমিন নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“তারা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য।”
বন্দুকযুদ্ধে নিহত মুকুল রানা এবং মুজিবুর একই মতাদর্শের দাবি করে তিনি বলেন, “তারা নিজ মতাদর্শের মধ্যেই বিয়ে করে থাকে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আত্মীয় হওয়ায় আগে থেকেই শরীফুল এবং মুজিবুরের পরিচয় ছিল।”
নিহত মুকুল রানার স্ত্রী মহুয়া আক্তার পিয়ারির দাবি, তার স্বামী ২৩ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন। এর ১৭ দিন পর তার ভাই মুজিবুরকে ঢাকায় যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, “যেদিন গ্রেপ্তার করা হয় সেদিনই ভাবিকে ফোন করে গ্রেপ্তারের খবর বলেছিল ভাই।”
মহুয়া জানান, তার অসুস্থ ভাবির চিকিৎসার ব্যাপারেই মুজিবুর ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
যশোর সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার কৃষক মো. আলীর তিন ছেলের মধ্যে ছোট মুজিবুর। তার দুই ভাই জাকির হোসেন এবং আমির হোসেন কৃষিকাজ করেন।
আর তাদের একমাত্র বোন মহুয়া মুকুল রানার স্ত্রী। তিনি সবার ছোট।
মহুয়া স্থানীয় এক কওমী মাদ্রাসায় লেখাপড়া করলেও তার কোনও ভাই মাদ্রাসায় পড়েননি। মুজিবুর হোমিও ও আয়ুর্বেদীয় ওষুধ ব্যবসায় জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার মুজিবুর ও ইদি আমিনের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা মাশরুকুর রহমান খালেদ।