আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হওয়া কয়েকজন আসামিকে হাই কোর্টের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা খালাস দেওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে বলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন।
Published : 15 Jun 2016, 09:22 PM
হাই কোর্ট বুধবার এক যুগ আগের আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়। তার সঙ্গে খুন হন ওমর ফারুক রতন নামে আরেকজন।
এ মামলায় ২০০৫ সালে নিম্ন আদালতে সর্বোচ্চ সাজার আদেশ পাওয়া ২২ আসামিদের মধ্যে ছয়জনের সর্বোচ্চ সাজা বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে মোট ৯ জনের। নিম্ন আদালতে দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে ১১ জনকে হাই কোর্ট খালাস দিয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “দীর্ঘ দিন এই হত্যাকাণ্ডের আপিল শুনানি হয়েছে। আজ রায় পাওয়া গেল। মৃত্যুদণ্ড থেকে যাদের যাবজ্জীবন ও যাদের খালাস দেওয়া হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করব।”
রায়ের পর্যবেক্ষণ থেকে তিনি বলেন, “একটি ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, সে ষড়যন্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতে একটি জনসভায় ওই হত্যাকারীরা এসে আহসান উল্লাহ মাস্টার এবং তার সাথে কয়েকজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। যারা নাকি অস্ত্র হাতে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের ব্যাপারেও আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণ দেওয়া হয়। আদালত বলেছে, এটা একটা ভীষণ জঘন্য রকমের হত্যাকাণ্ড ছিল।”
আপিল শুনানিতে দীর্ঘসূত্রতার কারণ জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, “এখানে যেহেতু অনেক আসামি যুক্ত ছিল, এজন্য এটা শুনানি হতে বিভিন্ন বেঞ্চে গেছে। বিভিন্ন বেঞ্চে শুনানি হয়নি অনেক কারণে। অবশেষে ..এই বেঞ্চে এই মামলা দীর্ঘদিন ধরে শুনানি হয়েছে এবং রায় এসেছে।”
পুলিশ যে ৩০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছিল, তাদের মধ্যে দুজন নিম্ন আদালতে খালাস পান। বাকি ২৮ জনের মধ্যে ১১ জনকে হাই কোর্ট খালাস দিয়েছে। দুই আদালতের রায়ের পর যে ১৫ জনের সাজা বহাল রয়েছে তাদের মধ্যে ছয়জন এখনও পলাতক।
পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে রাষ্ট্রের পক্ষে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, “আমরা আপিল ফাইল করে আপিলে যদি ফল লাভ করি, তখন পরবর্তী স্টেইজে ওই পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া হবে।”