বাবা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় হাই কোর্টের রায়ে ‘পুরোপুরি সন্তুষ্ট’ হতে পারেননি ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল।
Published : 15 Jun 2016, 03:12 PM
বুধবার হাই কোর্টের রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গনে সাংসদ রাসেল হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান সাংবাদিকদের।
এক যুগ আগের এই হত্যার ঘটনায় বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।
এ মামলায় ২০০৫ সালে নিম্ন আদালতে দণ্ডাদেশ পাওয়া বাকি ২২ আসামির মধ্যে আটজনকে হাই কোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই রায় ঘোষণা করে।
রায়ের পর বাবার আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য রাসেল বলেন, “হাইকোর্টের এ রায়ে আমরা আংশিক সন্তুষ্ট; পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, অন্যদের সাজা কমানো হয়েছে এবং কয়েকজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন ও খালাসপ্রাপ্তরা এ হত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল।
“আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। এ জন্য আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করি আপিলে খালাসপ্রাপ্তদের যথাযথ শাস্তি দেওয়া যাবে।”
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাজোয়ার হোসেন বলেন, “আপিল করার বিষয়ে বাদী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে লড়ব আমরা।”
২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। তার সঙ্গে খুন হন ওমর ফারুক রতন নামে আরেকজন।
জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি আহসান উল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুর পর এখন তার ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল ওই আসনের সংসদ সদস্য।
ওই ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে এই মামলায় ওই বছরের ১০ জুলাই ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। একই বছরের ২৮ অক্টোবর ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ৩৪ জন এবং আসামিপক্ষে দুজন সাক্ষ্য দেন।
এই মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, খালাস পান অন্য দুজন।