ঢাকায় লুক্সেমবুর্গের প্রথম অনারারি কনসাল হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইনটেরিয়র ডিজাইনার নাসরিন জমির।
Published : 09 Jun 2016, 08:06 PM
নাসরিন জমির অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসরিন বাংলাদেশে গ্র্যান্ড ডাচি অব লুক্সেমবুর্গের প্রতিনিধিত্ব করবেন এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিতে কাজ করবেন।
বেলজিয়াম, জার্মানি ও ফ্রান্সের লাগোয়া স্থলবেষ্টিত দেশ লুক্সেমবুর্গ পশ্চিম ইউরোপের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
১৯৭২ সালের প্রথম দিকে ইউরোপের যে দেশগুলো সবার আগে স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল, তার মধ্যে লুক্সেমবুর্গ একটি। তবে দুই দেশের রাজধানীতে নিজেদের দূতাবাস না থাকায় সেই কূটনৈতিক সম্পর্ক সক্রিয় ছিল না।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় নেদারল্যান্ডসের দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানে অনারারি কনসাল হিসেবে শপথ নেওয়ার পর নাসরিন জমির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই দায়িত্ব পেয়ে তিনি আনন্দিত।
“দুই দেশের সম্পর্কের নতুন যাত্রার সূচনা করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি আমি।”
কেবল ব্যবসা-বাণিজ্য নয়, উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বিনিময়ের জন্যও কাজ করার কথা বলেন তিনি।
তার স্বামী মুহাম্মদ জমির বাংলাদেশের সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার, যিনি রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেছেন। নাসরিনের বাবা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন সমাজ কল্যাণে ভূমিকার জন্য একুশে পদক পেয়েছিলেন।
ইনটেরিয়র ডিজাইনার নাসরিন জমির একজন ব্যবয়ায়ী এবং নারী উদ্যোক্তা হিসেবেও সুপরিচিত। বাংলাদেশের সব নামকরা হোটেলের ইনটেরিয়র ডিজাইন তার প্রতিষ্ঠানের করা। বাংলাদেশে তৈরি গৃহসজ্জা সামগ্রী অনলাইন স্টোরে বিক্রির ব্যবসাও রয়েছে তার।
নাসরিন বলেন, তার করা নকশা কেবল ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ নয়, ‘ডিজাইনড ইন বাংলাদেশ’ ধারণাকে সামনে তুলে ধরে।
টাঙ্গাইলে পরিবারের প্রতিষ্ঠিত ৩০০ শিক্ষার্থীর একটি স্কুল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত নাসরিন। তার কোম্পানি বাংলাদেশের গ্রামীণ কারুশিল্পীদেরও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে।
অনারারি কনসাল বলেন, “আমার লক্ষ্য হবে লুক্সেমবুর্গকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা। সেই সঙ্গে আমাদের পণ্যকে লুক্সেমবুর্গে পৌঁছে দেওয়া।”