প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপি-জামায়াত চক্র বিভিন্ন স্থানে ‘পরিকল্পিত গুপ্তহত্যা’ চালাচ্ছে।
Published : 25 Apr 2016, 10:37 PM
রাজশাহীতে শিক্ষক এবং কলাবাগানে বাড়িতে ঢুকে দুজনকে কুপিয়ে হত্যার প্রেক্ষাপটে সোমবার রাতে গণভবনে দলীয় নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই গুপ্তহত্যা কারা ঘটাচ্ছে সকলেই বোঝেন। নানারূপে বিএনপি-জামাত এগুলো করছে।
“গত নির্বাচনের সময় থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করতে তারা মানুষ পুড়িয়ে মারাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। এখন ব্যর্থ হয়ে গুপ্তহত্যা করছে।”
পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব রাব্বী তনয়কে।
ইউএসএআইডির কর্মসূচি কর্মকর্তা জুলহাজ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির খালাত ভাই।
জুলহাজ সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। তার সঙ্গে নিহত তনয় একজন নাট্যকর্মী।
যেভাবে এদের খুন করা হয়, সেভাবেই দুদিন আগে রাজশাহীতে হত্যা করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে।
রেজাউল হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিরা জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সন্দেহ। একই কায়দায় আগের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরাও জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হত্যাকারীরা ধরা পড়বে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
তিন বছর আগে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ড ছাড়া অন্য মামলাগুলোতে অনেককে গ্রেপ্তার করা হলেও তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ, যা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।
‘বিচারহীনতার কারণে’ একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটছে দাবি করে বিএনপি বলে আসছে, সরকারের ব্যর্থতাই এর কারণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এ জাতীয় হত্যাকাণ্ড সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয় নয়। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দেশ যখন সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এই হত্যাকাণ্ডগুলো বেছে বেছে সংগঠিত করা হচ্ছে।”
দেশবাসীকে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সজাগ থাকা এবং এ সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি।
“দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে। সবাই মিলে এই অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।”