যাত্রীবাহী নৌযানের শ্রমিকদের কোনো সমস্যা নেই দাবি করে তাদের ডাকা ধর্মঘটে লঞ্চ চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন মালিকরা।
Published : 21 Apr 2016, 02:48 PM
সদরঘাটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার (লঞ্চ মালিক সমিতি) কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সামনে এই ঘোষণা দেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা মো. গোলাম কিবরিয়া টিপু।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকালে সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়া শুরু হবে। যাত্রীবাহী লঞ্চের শ্রমিকদের কোনো সমস্যা নেই। সমস্যায় আছে মালবাহী, তেলবাহী কোস্টার ও কার্গো শ্রমিকরা।”
মালবাহী জাহাজের শ্রমিকদের দাবি আদায়ে চাপ তৈরির লক্ষ্যে যাত্রীবাহী লঞ্চ শ্রমিকদের টেনে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন লঞ্চমালিক গোলাম কিবরিয়া।
সুন্দরবনে তেলবাহী ট্যাংকার ডুবে নদী দূষণের ঘটনায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কারণে মালবাহী নৌযান শ্রমিকদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন তিনি।
“সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিংগেল বটম ট্যাংকার চলাচল করতে পারবে না। সব ট্যাংকার ডাবল বটমের ও ডাবল ইঞ্জিনের হতে হবে। তাছাড়া বড় বড় কোম্পানি এখন নিজেরা জাহাজ তৈরি করে মালামাল বহন করে।
“তাই মালবাহী জাহাজজের শ্রমিকরাও আগের মতো মালামাল বহন করতে পারে না। কিন্তু যাত্রীবাহী লঞ্চের শ্রমিকদের কোনো সমস্যা নেই।”
তবে মালিক সমিতির বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের প্রধান সমস্যাই হল, যাত্রীবাহী লঞ্চের শ্রমিকদের বেতন।”
মজুরি বাড়ানোসহ ১৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশন বুধবার রাত ১২টা থেকে দেশের সবগুলো নদী বন্দরে ধর্মঘটের ডাক দেয়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সদরঘাট থেকে কোনো রুটে লঞ্চ ছেড়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক সৈয়দ মাহজুর রহমান। ধর্মঘটের খবর না জেনে ভোর থেকে সদরঘাটে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা।
এদিকে ধর্মঘটে যাত্রী চলাচলের সুবিধার্থে বৃহস্পতিবার সদরঘাট থেকে একটির জায়গায় দুটি স্টিমার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি)।
এই দুই স্টিমার চাঁদপুর, বরিশাল ও বাগেরহাটের যাত্রী পরিবহন করবে বলে বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক শাহ বরকত উল্লাহ জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শিডিউল অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মধুমতি স্টিমার সদরঘাট থেকে বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
“আজ (বৃহস্পতিবার) আরেকটি স্টিমারও রাখা হবে। তবে সেটি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার আগে ছাড়াবে না পরে ছাড়বে তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।”