সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সংরক্ষিত তথ্য পেতে ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় দণ্ডিতদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের কথা শফিক রেহমান স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম।
Published : 19 Apr 2016, 02:56 PM
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “শফিক রেহমান রিমান্ডে তথ্য দিচ্ছেন।”
যুক্তরাষ্ট্রে দণ্ডিত রিজভী আহমেদ সিজার, এফবিআই এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক এবং এই দুজনের মধ্যস্থতাকারী লাস্টিকের বন্ধু জোহানেস থালেরের সঙ্গে বৈঠকের কথা তিনি ‘স্বীকার করেছেন’।
জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে ‘অপহরণ চক্রান্তের’ মামলায় গত শনিবার শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
জয় সম্পর্কে তথ্য পেতে লাস্টিককে ঘুষ দেওয়ার দায়ে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি নেতার ছেলে সিজারের কারাদণ্ড হয়। দণ্ডিত হন লাস্টিক ও তার বন্ধু থালেরও।
সিজারের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মামলার রায়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে ‘অপহরণ, ভয় দেখানো ও ক্ষতি করার’ উদ্দেশ্যে তার সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টার কথা বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে ওই বিচারের পর সেখানে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ ষড়যন্ত্র’র অভিযোগে ঢাকায় মামলা করে বাংলাদেশ পুলিশ।
এখন কিছু নথি হাতে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “দুজনকে এরইমধ্যে আমরা শনাক্ত করেছি। তাদের একজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আরেকজনকে রিমান্ডে আনার প্রক্রিয়া চলছে।”
দীর্ঘদিন কারাবন্দি আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ, যা এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
মামলার এজাহারে জয় অপহরণ ষড়যন্ত্রে ‘বিএনপির হাই কমান্ড’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, “এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হাই কমান্ড বলতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা না কি অন্য কোনো পর্যায়ের নেতা তা জানা যাবে।”
ওই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক বিএনপি নেতার সংশ্লিষ্টতার ‘প্রমাণ’ পাওয়ার কথা জানালেও তার নাম বলেননি মনিরুল।
লন্ডন প্রবাসী বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও এই ঘটনায় সন্দেহ করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা তদন্তের প্রয়োজনে সব দিক খতিয়ে দেখব।”