জমে উঠছে প্রাণের অমর একুশে বইমেলা। লোক সমাগমের সঙ্গে সমানতালে বাড়ছে বই বিক্রিও, যা আশাবাদী করে তুলেছে প্রকাশকদের।
Published : 06 Feb 2016, 08:12 PM
অবশ্য স্টল বিন্যাস নিয়ে প্রকাশকদের কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শনিবার ছিল মেলার ষষ্ঠদিন। সরকারি ছুটির এই দিনে সকাল থেকে শিশুদের কলকাকলিতে মুখর ছিল মেলা প্রাঙ্গণ বিকেলে বড়দের ভিড়ে হয়ে ওঠে সবার।
বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বইমেলায় ছিল এই বছরের দ্বিতীয় শিশুপ্রহর।
নিজেদের জন্য বরাদ্দ সময়টাতে শিশুরা ঘুরেছে স্টলে স্টলে, বেছে নেয় পছন্দের বই। বিকেলে বড়রাও ‘বড় সংখ্যায়’ জড়ো হন মেলায়, ঘরে ফিরেছেন হাতে বই নিয়ে।
বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণের নজরুল মঞ্চের সামনে কথা হয় শ্যামলী এলাকা থেকে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তা আফজাল হোসেনের সঙ্গে। একগাদা বই ছিল তার হাতে।
তিনি বললেন, “আগে একদিন আসছিলাম। আজকে ছেলে মেয়েকে নিয়ে মেলায় আসলাম। কয়েকটি বইও কিনেছি।”
আফজাল বলেন, “মেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের পরিবেশ কিছুটা ভাল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ খোলামেলা পরিবেশ থাকলেও সেখানকার ধুলোর অত্যাচার বন্ধে পানি ছিটানো দরকার।”
লোক সমাগমের পাশাপাশি বিক্রি বাড়ায় নিজেদের খুশির কথা জানালেন প্রকাশকরা।
অনন্যার স্বত্বাধিকারী মনিরুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেলার ষষ্ঠ দিনের হিসাব করলে প্রচুর লোক সমাগম হয়েছে। কিন্তু আরও লোকসমাগম হওয়ার কথা ছিল। বিক্রি আগের দিনের মতোই হয়েছে।”
“অনেকেই নিজের পছন্দসই জায়গায় সামনের দিকে স্টল নিয়ে নিয়েছেন। লটারির ধার ধারেননি। এ ব্যাপারে মেলার আয়োজকদের আগামীতে আরও কঠোর হতে হবে।”
এদিকে মেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের জন্য মিডিয়া সেন্টার নির্মাণ করার থাকলেও ষষ্ঠদিনে তার কাজ শেষ হয়নি।
আয়োজকদের তথ্যানুযায়ী, শনিবার মেলায় নতুন ১৫৫টি বই এসেছে।
এর মধ্যে গল্প ৩০, উপন্যাস ২৫, প্রবন্ধ ৯, কবিতা ৩৮, গবেষণা ১, ছড়া ৮, শিশুসাহিত্য ৭, মুক্তিযুদ্ধ ২, বিজ্ঞান ৮, ভ্রমণ ২, ইতিহাস ৩, কম্পিউটার ১, ধর্মীয় ২, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ১ এবং অন্যান্য বিষয়ে ১৭টি।