প্রস্তুতির জন্য প্রকাশনা সংস্থাগুলোকে ২৭ জানুয়ারি সময় বেঁধে দেওয়া হলেও বইমেলা শুরুর দ্বিতীয় দিনেও কিছু স্টল গোছানো শেষ হয়নি।
Published : 02 Feb 2016, 07:56 PM
এমনকি বাংলা একাডেমিও মেলা প্রাঙ্গণে ধুলোর উড়ো্উড়ি বন্ধে পানি ছিটানো, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা এবং মিডিয়া সেন্টার ও শৌচাগার নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারেনি।
মঙ্গলবার মেলার দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। ধুলোর উড়োউড়ি ছিল বিভিন্ন স্থানে।
বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে স্ক্রিনের মাধ্যমে মেলা মঞ্চের দৃশ্য মেলার অন্যপাশে দেখানো, মেলা অভ্যন্তরে মশা নিধন কার্যক্রম এবং শহীদ মিনার, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, মৎস্য ভবন মোড়, হাই কোর্ট ও শাহবাগ এলাকা আলোকিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি।
স্টল গোছানোর জন্য প্রকাশনা সংস্থাগুলোকে আর একদিন সময় দেওয়া হবে জানিয়ে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কয়েকটি স্টল এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি। তাদের মঙ্গলবারের মধ্যে কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছি আমরা।
“কাজ শেষ করতে না পারলে বুধবার থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ডের স্টল এবং বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সেন্টারের স্টল একেবারে ফাঁকা দেখা গেছে। এছাড়া অঙ্কুরসহ কয়েকটি স্টলের সাজসজ্জায় ব্যস্ত দেখা গেছে সেখানকার কর্মীদের।
তাম্রলিপির স্টলের সামনে কথা হয় সেগুনবাগিচা থেকে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আফজাল হোসেনের সঙ্গে।
তিনি বলেন, “মেলাতো সবে শুরু হলো। আসলাম, ঘুরে দেখছি। একটু অগোছালো মনে হচ্ছে। পুরোদমে শুরু হতে হয়তো আরও সময় লাগবে।
এসব সমস্যা মেটাতে পারলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছগাছালির সবুজের সমারোহে এবং খোলামেলা পরিসরে মেলা স্বস্তিদায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন আফজাল।
এদিন মেলায় ঢোকার পথগুলোতে নিরাপত্তা তল্লাশি ছিল চোখে পড়ার মতো। আর্চওয়ের পেরোনোর পর ব্যাগ তল্লাশি করে দর্শনার্থীদের মেলায় ঢুকতে দেওয়া হয়।
‘বিকৃত উচ্চারণে বাংলা বলবেন না’
মঙ্গলবার বইমেলায় এসে ‘বিকৃত উচ্চারণে বাংলা না বলতে’ এফএম রেডিওর উপস্থাপক, অনুষ্ঠান সঞ্চালকসহ (রেডিও জকি) গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
বিকেল ৪টার দিকে একুশে বইমেলায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্টল উদ্বোধনে এসে তিনি বলেন, “এফএম রেডিওর জকি, উপস্থাপকসহ গণমাধ্যমের ভাই-বোনদের প্রতি আমার আহ্বান, আপনারা বিকৃত উচ্চারণে বাংলাভাষায় কথা বলবেন না। অমর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রতি সম্মান রেখে আপনারা অন্তত ২০১৬ সালে এসে এ কাজ থেকে বিরত থাকুন।”
পাঁচটি উৎসব এদেশের মানুষের ‘পরিচয় ও উৎসাহ’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাতফেরি, একুশে বইমেলা, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা বাঙালির উৎসাহ। এসব যতদিন আছে, বিদেশি চক্রান্ত, জঙ্গিগোষ্ঠী, আগুন সন্ত্রাসীরা এদেশের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।”
এসময় অন্যদের মধ্যে পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, বিএফইউজের মহাসচিব ওমর ফারুক, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, বর্তমান সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাফি কামাল উপস্থিত ছিলেন।