যুবদলের এক নেতার স্ত্রীকে হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর ঢাকার আদাবর থানার এক উপ-পরিদর্শককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
Published : 01 Feb 2016, 11:43 AM
উপ-পরিদর্শক রতন কুমার হাওলাদার রোববার বিকালে মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদের কাছে পথ আটকে লোকজনহীন একটি দোকানে নিয়ে ‘অশ্লীল’ কথা বলার পাশাপাশি গায়ের জ্যাকেট খুলতে বাধ্য করেন বলে ওই নারীর অভিযোগ।
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওই তরুণীর স্বামী আদাবর থানা যুবদলের একজন নেতা। গত বছর বিস্ফোরক আইনের এক মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর রাতেই রতন হাওলাদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। সোমবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
“একজন অতিরিক্ত উপ কমিশনারকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ওই তরুণীর অভিযোগ, রোববার বিকালে ক্লাস শেষ করে রিকশায় শিয়া মসজিদের দিকে যাওয়ার পথে এসআই রতন তার পথ আটকায়। এরপর তল্লাশির কথা বলে ওই পুলিশ সদস্য তাকে একটি দোকানের ভিতরে নিয়ে যান এবং সেখান থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে শাটার টেনে দেন।
“সে বারবার জানতে চায়- আমার স্বামী কোথায়। না বললে ইয়াবা দিয়ে গ্রেপ্তারের ভয় দেখায়।
“আমি বারবার মহিলা পুলিশ বা আশপাশের কোনো মহিলার সামনে অথবা থানায় নিয়ে তল্লাশি করার অনুরোধ জানালেও সে তা করেনি। এ সময় অশ্লীল কথাবার্তা বলা ছাড়াও উনি আমাকে হোটেলের পতিতা এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী বানানোর চেষ্টা করেন।”
ওই যুবদল নেতা অভিযোগ করেন, এসআই রতন তার স্ত্রীর শরীর থেকে জোর করে জ্যাকেট খুলিয়ে সেই জ্যাকেট হাতে নিয়ে ভ্যানিটি ব্যাগ তল্লাশি করেন।
অন্যদিকে হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে উপ-পরিদর্শক রতন বলেন, স্বামী বিস্ফোরক মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হওয়ায় ওই নারী আগে একবার থানায় গিয়েছিলেন। তখনই তাদের পরিচয় হয়।
“রোববার হঠাৎ দেখা হওয়ায় রিকশা থামিয়ে তার স্বামীর খোঁজ জানতে চেয়েছি, এর চেয়ে বেশি কিছু না। স্বামী সাভারে আছে জানিয়ে সে চলে গেছে। আমার বিরুদ্ধে হয়রানির যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
ওই যুবদল নেতা বর্তমানে জামিনে আছেন এবং তার বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই বলে জানান রতন।