ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় সরকারি সুবিধা ছেড়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অংশ নেওয়ার সুযোগ রেখে আচরণবিধি চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 20 Jan 2016, 12:45 AM
মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো.শাহনেওয়াজ।
তিনি বলেন, “ইউপি নির্বাচন বিধিমালা ভেটিংয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আজ আচরণবিধি চূড়ান্ত করেছি। দুয়েকদিনের মধ্যে তাও পাঠানো হবে।”
তবে প্রচারণায় উপজেলা চেয়ারম্যানদের অংশ নেওয়া নিয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
শাহনেওয়াজ বলেন, “উপজেলা চেয়ারম্যানরা স্থানীয়ভাবে দলীয় পদধারী হয়ে থাকে। দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচন হওয়ায় তাদের সরকারি সুবিধা নিয়ে প্রচারণায় বাধা রয়েছে। আমরা প্রস্তাব করছি-সরকারি সুবিধা ছেড়ে (যানবাহন ও অন্যান্য) ইউপি প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে বাধা নেই।”
দলভিত্তিক ইউপি ভোট হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্যে আলাদা প্রতীক রেখে নির্বাচন বিধিমালা করেছে ইসি। এ নির্বাচনেও দলকে একক প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হবে। সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক/সম পদধারীদের প্রত্যয়নপত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
সদস্য পদে নির্দলীয়ভাবে প্রতীক রাখা হয়েছে। নারী প্রতীকেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহনেওয়াজ বলেন, “স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে সমর্থনসূচক কোনো স্বাক্ষর তালিকা দিতে হবে না। আগের মতো চেয়ারম্যান-সদস্য পদে প্রার্থীদের হলফনামা ও টিআইএন নম্বর দিতে হবে না।”
ফেব্রুয়ারির শুরুতেই নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধির বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে ইসির অনুমাদন পেলেই তা গেজেট আকারে জারি করা হবে।
সেক্ষেত্রে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে প্রথম পর্বের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ জানান, পৌর নির্বাচনের মতো ইউপিতে ভোটের ২১ দিনের আগে কোনো প্রচারণার সুযোগ থাকছে না। প্রতীক পেলেই আনুষ্ঠানিক প্রচারে যেতে পারবেন প্রার্থীরা। নির্বাচন বিধি মেনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতীক ছাড়া ব্যক্তিগত প্রচারণায়ও বাধা নেই।
তবে পৌর নির্বাচনে প্রতীক ছাড়া প্রচারের সুযোগ দেওয়ায় স্বতন্ত্র মেয়র ও নির্দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার নিয়ে বঞ্চিত হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল।