প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে নেপাল তাদের আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। যোগাযোগের জন্য চট্টগ্রাম এবং মংলা সমুদ্রবন্দরও ব্যবহার করতে পারে প্রতিবেশী দেশটি।
Published : 29 Nov 2015, 01:59 PM
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত হরি কুমার শ্রেষ্ঠ রোববার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
সাংবাদিকদের তিনি জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে নেপাল। দুর্যোগ মোকাবিলায় নেপালকে আরও সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ।
নেপালের নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, তারা নেপালের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সক্ষম হবে এবং নেপালকে সম্মৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে।
ইহসানুল করিম জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় নেপালের সহয়তার কথা স্মরণ করেন। এসময় তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর উচ্চপর্যায়ে আরও যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তিনি সবসময়ই নেপাল ও ভুটানের পক্ষে কথা বলেন; এমনকি ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও।
সাক্ষাতে বিদায়ী রাষ্ট্রদূত নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাপতি ভান্ডারি ও প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দুটি অভিনন্দন বার্তা শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশের সামাজিক ও নারীর উন্নয়নের এবং মধ্যম আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য শেখ হাসিনার ‘প্রাজ্ঞ’ নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন নেপালের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।