সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না সে সিদ্ধান্ত জানতে কারাগারে গিয়েছিলেন তার দুই ছেলেসহ কয়েকজন স্বজন।
Published : 20 Nov 2015, 09:42 PM
তবে কারাগারে ঢোকার সুযোগ না পেয়ে ফটক থেকে ফিরে এসেছেন তারা।
সালাউদ্দিনের ছেলে ফয়েজ কাদের চৌধুরী ও হুম্মাম কাদের চৌধুরীসহ সাতজন শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে আসেন।
কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভিতরে নেই বলে এক নিরাপত্তা কর্মী জানালে ফিরে যান তারা।
এ সময় সাকার ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের সাংবাদিকদের বলেন, “গতকাল আমরা বাবার সাথে দেখা করেছিলাম। ওটা ছিল ক্যাজুয়াল ভিজিট। বাবা মার্সি পিটিশন বা ক্ষমা চাইবেন কি চাইবেন না- সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
“শুধু বলেছিলেন, আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
এজন্য তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে আইনজীবীরা দীর্ঘক্ষণ কারাগারের সামনে অপেক্ষা করেও অনুমতি না পাওয়ায় তারা এসেছেন বলে জানান হুম্মাম।
তিনি বলেন, “যেহেতু বাবা একটা বড় সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন, যার বিষয়ে আমরাও জানি না, তাই আমরা চলে এসেছি এটা জানার জন্য যে, উনি কী চিন্তা করছেন।
“আমাদেরও দেখা করার সুযোগ দিচ্ছে না। আশা করি, আগামীকাল দেখা করতে পারব।”
যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন বুধবার খারিজ হওয়ার মধ্য দিয়ে কার্যত সব আইনি প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি হয়েছে। তাদের সামনে এখন কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগই বাকি আছে।
তারা আবেদন না করলে বা রাষ্ট্রপতির অনুকম্পা না পেলে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ, যার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে বলে কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বুধবার রাতে রায়ের অনুলিপি কারাগারে পৌঁছানোর পর দুই ফাঁসির আসামিকে তা পড়ে শোনানো হয় বলেও তারা জানিয়েছেন।
সে সময় প্রাণভিক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে দুজনই পরে জানানোর কথা বলেছেন বলে ডিআইজি প্রিজন গোলাম হায়দার জানিয়েছেন।
দুই যুদ্ধাপরাধীর সিদ্ধান্ত জানতে শুক্রবারও তাদের কাছে যাবেন বলে সকালে জানিয়েছিলেন কারাগারের শীর্ষ কর্মকর্তা।
তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো জবাব পাননি বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন।