মুদ্রাপাচার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।
Published : 28 Oct 2015, 12:22 PM
ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহমান বুধবার মোশাররফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ২৯ নভেম্বর দিন ঠিক করে দেন।
দুদকের দায়ের করা এ মামলায় ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।
২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ১৪ অগাস্ট মামলার অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
এজাহারে বলা হয়, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে’ অর্জিত আট লাখ চার হাজার ১৪২ পাউন্ড যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফসোর ব্যাংকে তার ও স্ত্রী বিলকিস আক্তারের যৌথ অ্যাকাউন্টে জমা করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ নয় কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা।
বুধবার অভিযোগ গঠনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আর মোশাররফের পক্ষে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন।
অব্যাহতির আবেদনে বোরহান বলেন, ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মোশাররফ ও তার স্ত্রী লন্ডনে ছিলেন। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি কনসালটেন্সি ও চাকরি করে তারা ওই টাকা আয় করেন।
“অর্জিত টাকা তারা ব্যাংকে রেখে পরে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন। পরে ওই ব্যাংক লয়েড অফসোর নামে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং শুরু করে। ২০০২ সালে শেয়ার বাজারে ধস নামলে মোশাররফ ব্যাংকে আবেদন করে টাকাগুলো ফিক্সড ডিপোজিট খুলে তাতে জমা করেন। দুইজনের নামে ওই টাকা বেড়ে এখন নয় কোটি হয়েছে।”
দুদক টাকার পরিমাণ ঠিক রেখে পোর্টফোলিও হিসাব নম্বর ঠিক রেখে শেয়ার বাজারের টাকার অংশ ‘বিবেচনায় না এনে’, কে টাকা দিয়েছে, কাকে কত টাকা দিয়েছে তা উল্লেখ না করে ‘গোজামিল’ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই আইনজীবী।