বিচার ত্বরান্বিত করতে দুটি গঠনের সাড়ে তিন বছরের মাথায় মামলার সংখ্যা কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
Published : 03 Sep 2015, 11:51 PM
বৃহস্পতিবার আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হক এই উদ্যোগের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুটির মধ্যে একটি আপাতত বিচার কাজে রাখতে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করা হয়েছে। এটি অনুমোদিত হলে একটি ট্রাইব্যুনাল বিচার কাজ পরিচালনা করবে। অপরটি অগঠিত থাকবে।”
“তবে সেটা বাতিল বা বিলুপ্ত হবে না। সরকার যখনই মনে করবে তখনই অপরটি সক্রিয় হবে,” বলেন আইন সচিব।
সার-সংক্ষেপ অনুমোদন হলে রোববার নাগাদ প্রজ্ঞাপন হতে পারে বলে তিনি জানান।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ বিচারপতি নিজামুল হককে চেয়ারম্যান, বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এ কে এম জহির আহমেদকে সদস্য করে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এরপর আরও তিনজনকে যোগ করে প্রথম ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ টি এম ফজলে কবীরকে চেয়ারম্যান করে ২০১২ সালের ২৩ মার্চ দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়।
তিন সদস্যের দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই বিচারক হন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং ট্রাইব্যুনালের নিবন্ধক মো. শাহীনুর ইসলাম। বিচারপতি ফজলে কবীরের স্থলে প্রথম ট্রাইব্যুনালে সদস্য করা হয় বিচারপতি আনোয়ারুল হককে।
ওই বছরের অগাস্টে শারিরীক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জহির আহমেদ পদত্যাগ কলে শূন্যস্থানে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেনকে নিয়োগ দেয় সরকার।
স্কাইপে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথিত কথপোকথন নিয়ে বিতর্কের মুখে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম পদত্যাগ করলে ফজলে কবীরকে চেয়ারম্যান করে ১ নম্বর ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
তিনি অবসরে যাওয়ার পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান হিসাবে আসেন। বর্তমানে এই ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসাবে রয়েছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। সঙ্গে রয়েছেন বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলাম।