একই মামলায় গোলাপ ৭ দিনের রিমান্ডে ছিলেন।
Published : 02 Sep 2024, 12:31 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপকে দ্বিতীয় দফায় ৩ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার সকালে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান।
এদিন সকাল ৬টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আসামিকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। সকাল ৭টার দিকে তাকে এজলাসে নেওয়া হয়।
একই মামলায় ২৬ অগাস্ট থেকে ৭ দিনের রিমান্ডে ছিলেন গোলাপ। দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিন্টু চন্দ্র বণিক।
আদালতে রিমান্ড আবেদন পাঠ করে শোনান আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান। গোলাপের পক্ষে রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী পম্পা মুখার্জী।
তিনি রিমান্ড শুনানিতে বলেন, “গোলাপ একজন হার্টের রোগী। গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি নিয়মিত একজন কার্ডিওলজিস্টের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সমস্যায়ও ভুগছেন এবং মেরুদণ্ডের উপরিভাগে ক্যালসিফিক টেন্ডিনাইটিস সমস্যায় ভোগার কারণে তাকে সপ্তাহে ছয় দিন ফিজিওথেরাপি নিতে হয়।”
এ সময় চিকিৎসার কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করে গোলাপের সুচিকিৎসার আবেদন করেন আইনজীবী পম্পা মুখার্জী।
তিনি বলেন, “আমার মক্কেলকে অহেতুক হয়রানির করার জন্য এই মামলাটি করা হয়েছে। তাই তার রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করছি।”
গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে আবদুস সোবহান গোলাপকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ৫ অগাস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা আদাবর থানার রিংরোড এলাকায় একটি প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ এবং মৎসজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ ঘটনায় ২২ অগাস্ট রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
টিপু মুনশি কারাগারে
বাড্ডার ফুজি টাওয়ারের সামনে সুমন শিকদার হত্যা মামলায় সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান।
চার দিনের রিমান্ড শেষে এদিন সকালে টিপু মুনশিকে আদালতে হাজির করে জেল হাজতে পাঠানোর আবেদন করেন বাড্ডা থানার এসআই রেজাউল আলম। টিপু মুনশির পক্ষে জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি।
তিনি বলেন, “এই মামলায় টিপু মুনশির বিরুদ্ধে আনা্ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। শুধুমাত্র হয়রাইন করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।”
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন সুমন শিকদার। তিনি দুপুর ১২টার সময় ফুজি টাওয়ারের সামনে আসা মাত্রই গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় সুমনের মা মাছুমা ২০ অগাস্ট বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন।