Published : 01 May 2025, 02:06 PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার অথৈকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় কথিত প্রেমিক ইয়াছিন মজুমদারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের আবেদনে বুধবার এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম এম মিজবাউর রহমান।
আদালতের সূত্রাপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা অনুপম দাস জানান, বুধবার ইয়াছিনকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটকে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা জাহিদুল হক। আসামির পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অথৈকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে বুধবার ইয়াছিনের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা প্রনব মজুমদার।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানা এলাকায় অথৈ ও ইয়াছিনদের বাড়ি পাশাপাশি। এক স্কুলে পড়াশোনার সময় থেকেই অথৈকে উত্যক্ত করত ইয়াছিন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে অথৈ সূত্রাপুর এলাকায় থাকতে শুরু করেন। তখন ইয়াছিন ঢাকায় এসে লালবাগ এলাকার ‘জমিদারি ভোজ’ রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ নেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, ইয়াছিন ঢাকায় এসে আগের মতোই উত্যক্ত করতে থাকে এবং ‘কৌশলে’ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে ‘অপমানজনক কথা’, ‘অপবাদ’ দিয়ে অথৈকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে ইয়াছিন।
মামলায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত উৎসবের অনুশীলন শেষে ছাত্রীনিবাসে ফেরার পথে অথৈকে ‘গালমন্দ’ করার পাশাপাশি উৎসবে অংশ না নিতে চাপ দেয় ইয়াছিন। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ওই শিক্ষার্থী লক্ষ্মীবাজারের নন্দলাল লেইনের মেসে চলে যান।
খানিক বাদে তার কক্ষের সামনে গিয়ে ইয়াছিন অন্যদের দিয়ে অথৈকে ডাকতে বলে। পরে মেসের মালিকের স্ত্রী জোৎস্না বেগমের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে কক্ষে প্রবেশ করে ইয়াছিন। এসময় অথৈকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয় ইয়াছিন। সেখানে চিকিৎসক ওই ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
জগন্নাথের সংগীত বিভাগের ছাত্রীর মৃত্যু, 'বন্ধু' থানায়