আদালতের শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, আসামিরা সবাই শিক্ষার্থী। মামলার ধারা জামিনযোগ্য। তারা জামিন পেতে পারেন।
Published : 12 May 2024, 09:29 PM
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করার সময় গ্রেপ্তার ১২ জনকে জামিন দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
রাজধানীর শাহবাগ থেকে শনিবার গ্রেপ্তার হন তারা। রোববার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আল আমিন।
পরে দুই পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুব আহম্মেদ দুই হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন আবেদন গ্রহণ করেন।
জামিন পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন: চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ চাই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন রশিদ রতন, সদস্য সচিব মো. রাসেল, হুমায়ন কবির, মানিক দাস, আল আমিন, শেখ ফরিদ, আজম মোহাম্মদ, মো. সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল হাকিম, রিমা আক্তার, শারমিন আক্তার দৃষ্টি, ফাতেমা আক্তার।
চাকরিপ্রত্যাশীদের পক্ষে আদালতে কথা বলেন আইনজীবী নাজনীন নাইমসহ কয়েকজন। তারা বলেন, আসামিরা সবাই শিক্ষার্থী। মামলার ধারা জামিনযোগ্য। তারা জামিন পেতে পারেন।
রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই নিজাম উদ্দীন ফকির।
আগের দিন শাহবাগে বিক্ষোভের পর অবৈধভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সরকারি কাজে বাধা ও আত্মহত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন এসআই এস এম এলিস মাহমুদ।
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি মোড়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশ ও মিছিল শেষে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় ঘেরা করতে গিয়েছিল।
মামলায় বলা হয়েছে, সেখানে আত্মহত্যার স্লোগান ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে মিছিল নিয়ে পাবলিক লাইব্রেরির সামনে পাকা রাস্তার ওপর আসেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ তাদের নিবৃত করতে সড়কে লোহার ব্যারিকেড দেয়।
আন্দোলনকারীদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও তারা ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচলে বন্ধ করে দেয়। এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বারডেম হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা আটকা পড়ে ‘আর্তনাদ করতে থাকে’ বলে উল্লেখ করা হয় মামলায়।
এজাহারে বলা হয়, “এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা একটি বাসে ভাঙচুর করে এবং তাদের কাছে থাকা জীবননাশকারী পদার্থ দাহ্য জ্বালানি দিয়ে আগুন ধরিয়ে উসকানিমূলক বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
“হ্যান্ড মাইক ও মৌখিকভাবে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তারা রাস্তা না ছেড়ে ডিউটিরত পুলিশের সসঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।”