“র্যাবের পোশাকে সম্মানহানি হয় এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে”, বলেন র্যাব মহাপরিচালক।
Published : 23 Jun 2024, 11:11 PM
র্যাবের নতুন মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ তার বাহিনীর ব্যাটালিয়ন অধিনায়কদেরকে পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা বলেছেন, যার মধ্যে একটি হল ‘মানবাধিকার সমুন্নত রাখা।’
রোববার বাহিনীর সদরদপ্তরে ব্যাটালিয়ন অধিনায়কদেরকে তিনি এই অগ্রাধিকার ও নির্দেশনার কথা বলেন। এরপর সাংবাদিকদের সামনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন।
গত ৫ জুন র্যাব প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন হারুন অর রশীদ। এর প্রায় ১৮ দিনের মাথায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য নিয়ে এলেন। মাঝে ঈদুল আজহার সময় নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন।
এই সংবাদ সম্মেলনের আগে সব ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের উপস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ সভায় অংশ নেন র্যাব প্রধান। সেখানে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার ও কিশোর অপরাধকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৫ টি নির্দেশনা ও কর্মপন্থা ঘোষণা করেন।
এই নির্দেশনার মধ্যে মানবাধিকার ছাড়াও রয়েছে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মার্ট র্যাব বাহিনীর কর্মপরিধি বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সব কার্যক্রমে আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
এই ৫ দফার বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে ব্যাখ্যা দিয়ে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ এর মত ‘স্মার্ট র্যাব’ গঠন করতে চাই।এ জন্য র্যাবে কারিগরি, প্রযুক্তিগত ও অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন ঘটেছে সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে।”
বাংলাদেশের সংবিধান, আইন, বিধি ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার ভিত্তিতে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
‘পোশাকের সম্মানহানি নয়’
সংবাদ সম্মেলনে হারুন তার বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ করে বলেন, “র্যাবের পোশাকে সম্মানহানি হয় এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
“যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও প্রতিটি সদস্যের পোশাক-পরিচ্ছেদ, চলাফেরাসহ সকল ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা বজায় রাখা, চেইন অব কমান্ড অনুসরণ এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ হতে বিরত থাকতে হবে।”
শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজের জন্য জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে বলেও সদস্যকে সতর্ক করেন হারুন। বলেন, যারা শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করবেন তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
মাদক, কিশোর অপরাধ চক্র ও সাইবার ক্রাইম নিয়েও র্যাব গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আইনানুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয়ে অভিযান জোরদার করার জন্য সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘জিরো টলারেন্স নীতির’ কথা উল্লেখ করে র্যাব প্রধান বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে র্যাবের দৃঢ় অবস্থান সব সময় আছে। এ ব্যাপারে র্যাব আরও কঠোর নজরদারি করবে।”