আরো দেড় লাখ গ্রাহককে অচিরেই প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
Published : 17 Feb 2024, 01:18 PM
সিলেট অঞ্চলের গ্যাস বিতরণ সংস্থা জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ৫০ হাজার গ্রাহক পেয়েছেন প্রিপেইড মিটার।
শনিবার কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের এই প্রকল্পের ডেটা সেন্টার উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সেখানে বঙ্গবন্ধু কর্নারও উদ্বোধন করেন তিনি।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ৫০ হাজার গ্যাস মিটার স্থাপনে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন কর্তৃপক্ষ।
নিজস্ব অর্থায়নে অল্প সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করায় ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “৫০ হাজার গ্রাহককে ইতিমধ্যে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হয়েছে। আরো দেড় লাখ গ্রাহককে অচিরেই প্রিপেইড মিটারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতোমধ্যেই সেই পরিকল্পনা নিচ্ছে জালালাবাদ। ধাপে ধাপে সিলেট অঞ্চলের সব গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় চলে আসবে।
“প্রিপেইড মিটারের ফলে গ্যাসের অপচয় রোধ হবে এবং গ্রাহকরা সাশ্রয়ী মূল্যে গ্যাস ব্যবহার করতে পারবেন। আগামী দুই বছরের ভেতরে জালালাবাদের সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে আপনারা দ্রুত পদক্ষেপ নিন।”
আগামী চার বছরের মধ্যে দেশের সব গ্যাসের গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় নিয়ে আসতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
“এখানে প্রিপেইড মিটারের জন্য একটি ডেটা সেন্টার চালু করা হয়েছে। গ্রাহকরা কখন কী পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করছেন এই ডেটা সেন্টারের মাধ্যমে এর একটা ধারণা পাওয়া যাবে। কেউ হিসাবের বাইরে অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার করলে সেটাও এর মাধ্যমে বোঝা যাবে।”
জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশনের গ্রাহক রয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ৪৬১। এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহক রয়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৬৪।
প্রকল্পের কর্মকর্তা বলছেন, ৫০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয় ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টম্বরে। মাঠ পর্যায়ে মিটার স্থাপন কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ১৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সিলেটের কৈলাসটিলা ৮ নম্বর কূপ খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী।
তার তিন দিনের সিলেট সফরে এই অঞ্চলের প্রতিটি গ্যাস ফিল্ড ও প্রসেস প্লান্ট পরিদর্শন, মডেল পেট্রোল পাম্প উদ্বোধন, পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ উদ্বোধনসহ বেশকিছু কর্মসূচি রয়েছে।