বিচারক শুনানি শেষে নারাজির বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৪ মার্চ দিন ঠিক করেছেন।
Published : 03 Mar 2024, 09:49 PM
ছাত্রীকে বিয়ে করে আলোচিত ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সাবেক অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ধর্ষণের মামলায় অব্যাহতির সুপারিশ দিয়ে পুলিশ যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল, তাতে নারাজি দিয়েছেন বাদী।
রোববার ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শওকত আলীর কাছে এ নারাজি আবেদন দাখিল করেন ওই ছাত্রীর বাবা। বিচারক শুনানি শেষে নারাজির বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৪ মার্চ দিন ঠিক করেছেন বলে জানান পিপি রেজাউল করিম।
ধর্ষণের অভিযোগে মুশতাক ও ফাওজিয়ার বিরুদ্ধে গত ১ অগাস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৮-এ মামলা করেন ছাত্রীর বাবা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, “বিভিন্ন অজুহাতে মুশতাক কলেজে আসতেন। এবং ওই ছাত্রীকে ছাত্রীকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতেন। কিছু দিন পর মুশতাক ওই শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে এবং তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করার হুমকি দেন।"
মামলায় ‘তথ্যগত ভুল’, আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়াকে অব্যাহতির সুপারিশ
এজাহার অনুযায়ী, এ বিষয়ে মুশতাকের বিরুদ্ধে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছিল ওই শিক্ষার্থী। এরপর অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে অধ্যক্ষ মুশতাককে তার কক্ষে ডাকেন এবং ছাত্রীকেও ক্লাস থেকে ডেকে নেন তার রুমে। এবং কক্ষের দরজা বন্ধ করে দিয়ে মুশতাককেকে ‘সঙ্গ দিতে’ বলেন।
বাদীর ভাষ্য, “অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর কাছে প্রতিকার চাইতে গেলে তিনি কোনো সহযোগিতা করেননি, বরং মুশতাককে ‘অনৈতিকভাবে সহযোগিতা’ করেন। এরপর গত গত ১২ জুন ছাত্রীকে তার ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়ি থেকে ছাত্রীকে ‘অপহরণ’ করেন।
বাদী আরও দাবি করেন, অপহরণের পর তিনি জানতে পারেন, মুশতাক তার মেয়েকে ‘অনৈতিক কাজ করতে’ বাধ্য করছেন।
এসব অভিযোগ তদন্ত করে গত ১৪ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন গুলশান থানার এসআই সোহেল রানা, যাতে মামলা দায়েরে ‘তথ্যগত ভুল হয়েছে' উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ছাত্রী আদালতে হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন। তাতে তিনি বলেছেন, ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ স্বেচ্ছায় ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে খন্দকার মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করেন। বিজয়নগর কাজী অফিসে ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়।
প্রতিবেদনে এও বলা হয়, ওই ছাত্রীর বয়স ১৮ পূর্ণ হলে তাকে বিয়ে করেন আসামি মুশতাক। এক্ষেত্রে ভুক্তভোগীকে কেউ কোনো ধরনের প্ররোচনা দেননি।