পরবর্তী কার্যক্রম এগিয়ে নিতে মামলাটি ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হবে
Published : 14 Nov 2023, 04:56 PM
কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের মামলায় ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ এবং প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ।
তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই সোহেল রানা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মঙ্গলবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলা দায়েরে 'তথ্যগত ভুল হয়েছে' বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মুশতাক ও রাশেদীর বিরুদ্ধে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলাটি করা হয় গত ১ অগাস্ট।
গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই তাহমিনা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী নিজের বয়স ১৯ দাবি করে কাগজপত্র দেখিয়ে আদালতে বক্তব্য দেন। তাকে অপহরণ করা হয়নি বলে তদন্ত সংস্থা এবং আদালতে কথা বলেন। এই কারণ উল্লেখ করে তদন্ত কর্মকর্তা মেয়েটির বাবার করা মামলায় তথ্যগত ভুল রয়েছে বলে আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।”
এসআই তাহমিনা বলেন, “গত ৩০ অক্টোবর চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি থানা থেকে পাঠানো হয়। আমরা ৩/৪ দিন আগে প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি।"
পরবর্তী কার্যক্রম এগিয়ে নিতে মামলাটি ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হবে বলেও তিনি।
ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মো. রেজাউল করিম বলেন, “বাদী মেয়েটির বাবা সাইফুল ইসলাম নারাজি দেবেন কি না বলতে পারছি না। তিনি আমাদের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করেননি। তবে নারাজি দিয়ে কোনো লাভ হবে না। ”
তিনি জানান, গত ১৭ অগাস্ট ছয় সপ্তাহের জন্য মুশতাক হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন। পরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর এই ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে শুনানি নিয়ে বিচারক মাফরোজা পারভীন তাকে জামিন দেন। সেদিন মেয়েটি আসামির পক্ষ নিয়ে আদালতে হাজির ছিলেন। তাকে 'অপহরণ করা হয়নি' বলে ভুক্তভোগী ছাত্রী থানায় একটি জিডি করেন।
গত ১ অগাস্ট মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে যে মামলা করা হয়েছিল, তাতে আসামি করা হয় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকেও।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে ওই মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে বাদী বলেন, তার মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ওই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে নিতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে আসামি তাকে ‘বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন’।
“কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভুক্তভোগীকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করার হুমকি দেন।”
আইডিয়ালের সেই ছাত্রীকে জিম্মায় পেতে বাবার রিট আবেদন
আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের সীমানায়ও ঘেঁষা যাবে না, নির্দেশ মুশতাককে