“৫ অগাস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হল, তারই প্রেক্ষিতে আজ স্বাধীন রায় হল,” তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন তিনি।
Published : 26 Nov 2024, 04:39 PM
সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে ২৪ বছর আগের এক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুককে খালাস দিয়েছে আদালত।
ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ এসএম জিয়াউর রহমান মঙ্গলবার এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় জয়নুল আবদিন ফারুক আদালতে হাজির ছিলেন।
এই বিএনপি নেতা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “৫ অগাস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হল, তারই প্রেক্ষিতে আজ স্বাধীন রায় হল। বিচার বিভাগ এখন স্বাধীন। বিচারকদের এখন আর কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় না।
“বিপ্লবী ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি, আজকের রায়ে তা প্রমাণিত হল। আমি খালাস পেয়েছি। খালাস উৎসর্গ করলাম ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে যারা গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমার অনুভূতি একটায় দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকুক। যে দলের হোক, যে মতের হোক, বিচার বিভাগ সত্যিকার অর্থে স্বাধীন থাকুক। বিচার করার সাহসিকতা আজ দেখেছি। বিগত দিনের মত যেন আর বিচার না হয়।
২০০০ সালের ১৯ জানুয়ারি ফারুকের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। ২০০১ সালের ১৭ জুন অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক ইমদাদুল হক। ২০০৬ সালের ২৩ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জয়নাল আবেদীন ফারুক নোয়াখালী ১ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালে ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাই থেকে ১৯৯৯ সালের ২২ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের সম্পদ বিবরণী চেয়ে দুদকের পক্ষ থেকে নোটিস দেওয়া হয়। ৪৫ দিন সময় পেয়েও তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি।