“আমরা চেষ্টা করছি আমাদের দায়িত্ব পালনে। চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,” বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
Published : 13 Apr 2025, 11:50 PM
বাংলাদেশে শান্তি, ন্যায়বিচার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন বিশ্ব গির্জা পরিষদ (ডব্লিউসিসি) এর মহাসচিব রেভারেন্ড জেরি পিল্লে।
রোববার রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের এসময় তিনি এ কথা বলেছেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এ বৈঠকের বিষয়ে তুলে ধরা হয়।
সাক্ষাৎকালে রেভারেন্ড পিল্লে বলেন, “আমরা এখানে এসেছি আপনার নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানাতে। দুই দশক পর এই সফর আমাদের বাংলাদেশের প্রতি অব্যাহত অঙ্গীকারের প্রতিফলন। আপনার সরকারের কাজ দেখে মনে হচ্ছে, আপনারাও আমাদের মতই শান্তি, ঐক্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজে বিশ্বাসী।”
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বিশ্ব গির্জা পরিষদের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি আমাদের দায়িত্ব পালনে। চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামীতে আপনাদের সহায়তা ও বন্ধুত্ব আমাদের প্রয়োজন।“
তিনি আবারও তাকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান।
বিশ্ব গির্জা পরিষদ বিশ্বের ৩৫২টি সদস্য গির্জার একটি বৈশ্বিক সংগঠন, যা ৫০ কোটিরও বেশি খ্রিস্টানদের প্রতিনিধিত্ব করে এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপ ও সম্প্রীতির জন্য কাজ করে।
রেভারেন্ড পিল্লে বলেন, বিশ্ব গির্জা পরিষদ প্রধান উপদেষ্টার ’থ্রি জিরো ওয়ার্ল্ড ভিশনকে’ সমর্থন করে, যার লক্ষ্য হল- সম্পদের অসম বণ্টন, বেকারত্ব এবং কার্বন নিঃসরণ—এই তিন ক্ষেত্রেই শূন্যে পৌঁছানো।
“আমরাও এই তিনটি নীতিকে সমানভাবে এগিয়ে নিতে চাই। এটি আমাদের মধ্যে স্বাভাবিক মিল তৈরি করেছে।”
তিনি জলবায়ু অভিযোজন খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন। বলেন, গাজীপুরে বিশ্ব গির্জা পরিষদের বাংলাদেশ শাখা একটি জলবায়ু কেন্দ্র চালু করেছে।
“জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশে এমন অনেক প্রকৌশলী আছেন, যারা উদ্ভাবনী চিন্তা ও বিশ্বমানের সমাধান নিয়ে কাজ করছেন।”
সাক্ষাতের সময় ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা এ এফ এম খালিদ হাসান, বিশ্ব গির্জা পরিষদের প্রোগ্রাম নির্বাহী দিনেশ সুনা, বাংলাদেশের প্রটেস্টান্ট চার্চ ফেডারেশনের সভাপতি বিশপ ফিলিপ আদিখারি, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব চার্চেস ইন বাংলাদেশের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার ক্রিস্টোফার আদিখারি ও সংগঠনের মহাসচিব রেভারেন্ড দীপক দাস উপস্থিত ছিলেন।