২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠন করে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করে আদালত। এর গত ৮ বছর এ মামলায় সাক্ষী দিতে আসেননি কেউ।
Published : 15 Jan 2025, 10:03 PM
মতিঝিল ঘরোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁর কর্মচারী রিয়াদ হোসেনকে হত্যার মামলায় নয় বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বুধবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. ইব্রাহীম মিয়ার আদালতে তিন পুলিশ সদস্য সাক্ষ্য দেন।
তারা হলেন, পুলিশের উপ-পরিদর্শক রহিদুল ইসলাম ও দুলাল চন্দ্র কুন্ডু এবং কনস্টেবল মো. দেলোয়ার হোসেন।
মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন বিচারক।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অফিস সহকারী মোহাম্মদ সোহেল এসব তথ্য জানান।
২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর রিয়াদকে হত্যা করা হয়। পরদিন ওয়ারী থানায় ঘরোয়ার মালিক আরিফ হোসেন সোহেলসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন রিয়াদের ভাই রিপন।
মামলায় ২০১৬ সালের ২২ জুলাই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও ওয়ারী থানার ওসি আলিম হোসেন শিকদার।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি জসিম চৌকিদার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি ঘরোয়ার মালিক আরিফসহ তিনজনের জড়িত থাকার কথাও বলেছেন।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও গুলিতে মৃত্যুর কথা উল্লেখ আছে বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরেন তদন্ত কর্মকর্তা।
জসিমের জবানবন্দি অনুযায়ী, ঘটনার দিন শফিকুল নামে একজনের দেড় হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। এজন্য সন্দেহ করা রিয়াদকে। তাকে স্বামীবাগের একটি কক্ষে নিয়ে বেঁধে রাখেন মালিক আরিফ হোসেন সোহেল। রাত ১২টার দিকে জসিম, শফিকুল, সালাম, ইলিয়াসসহ হোটেলের আরেক কর্মী সেখানে যান।
জসিম জবানবন্দিতে বলেন, সেখানে গিয়ে তারা রিয়াদকে খুঁটিতে বাঁধা দেখতে পান। রেস্তোরাঁর মালিক তাকে লাঠি দিয়ে চার থেকে পাঁচবার আঘাত করেন। তখন রিয়াদ মোবাইল ফোন ও টাকা নেয়ার কথা ‘স্বীকার করেন’।
“এরপর সোহেল পকেট থেকে পিস্তল বের করে রিয়াদের গলার ডান পাশে গুলি করেন। রক্ত বের হতে দেখে তিনি হাত দিয়ে চেপে ধরেন; আমাদেরকেও চেপে ধরতে বলেন।”
জবানবন্দি অনুযায়ী, রিয়াদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ঘরোয়া মালিক তাদের বলেন, “মানুষের কাছে বলবি, মালিকের টাকা বাসায় পৌঁছে দেওয়ার পথে ছিনতাইকারীরা রিয়াদকে গুলি করেছে।”
২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠন করে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করে আদালত। এরপর এ মামলায় সাক্ষী দিতে আসেননি কেউ।
এই মামলার সবশেষ সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল গত ২ অক্টোবর। সেদিনও কোনো সাক্ষী হাজির না হওয়ায় ১৫ জানুয়ারি নতুন দিন নির্ধারণ করেন ঢাকার অতিরিক্ত দায়রা জজ ইব্রাহিম মিয়ার আদালত।
তিন পুলিশ সদস্যের সাক্ষী দেওয়ার মাধ্যমে বুধবার মামলাটি আবার গতি পেল।