ভারত থেকে উপহারের ২০ ট্রেন ইঞ্জিন পেল বাংলাদেশ

গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে অনুদান হিসেবে ২০টি লোকোমোটিভ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
Published : 23 May 2023, 01:41 PM
Updated : 23 May 2023, 01:41 PM

বাংলাদেশের কাছে উপহার হিসেবে রেলের জন্য ২০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) হস্তান্তর করেছে ভারত সরকার।

মঙ্গলবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, “দর্শনা-গেদে ইন্টারচেইঞ্জ পয়েন্টে ২০টি লোকোমোটিভ হস্তান্তর করা হয়।

“ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ভার্চুয়ালি এর সূচনা করেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এগুলো গ্রহণ করেন।”

গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে অনুদান হিসেবে ২০টি লোকোমোটিভ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত সরকার।

হস্তান্তরের মাধ্যমে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের কথা উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এই লোকোমোটিভগুলো বাংলাদেশে যাত্রী ও মালবাহী ট্রেনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ঐতিহাসিকভাবে ভারত ও বাংলাদেশে একই ধরণের রেলওয়ে ব্যবস্থা বিদ্যমান এবং তাই এই সেক্টর স্বাভাবিকভাবেই একে অপরের পরিপূরক।

দুই রেলওয়ের মধ্যে সহযোগিতার ‘অপার সম্ভাবনার’ ওপর জোর দেন তিনি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভারতের কাছ থেকে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে এই ২০টি বিজি লোকো হস্তান্তর বাংলাদেশের জনগণের জন্য রেল ভ্রমণকে সহজ করে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এই লোকোগুলোর অনুদান ‘প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সম্পদ ও দক্ষতা বিনিময়ের একটি চমৎকার উদাহরণ’।

বহুমুখী সংযোগ বৃদ্ধি উভয় সরকারের জন্য অগ্রাধিকার ছিল উল্লেখ করে ভারতের রেলমন্ত্রী বলেন, “বিশেষ করে রেলওয়ে, উভয় দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি সমগ্র উপ-অঞ্চলকে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা রাখে।”

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং কার্যকর ও পরিবেশ-বান্ধব উন্নয়নের লক্ষ্যে রেলওয়ে যোগাযোগের আরও প্রবৃদ্ধিকরণ একটি মূল চালিকাশক্তি হিসেবে পারস্পরিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে। পোর্টফোলিওতে প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ হলো ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী।

অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, আন্তঃসীমান্ত সংযোগ ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর দৃষ্টিপাত করে, ১৯৬৫-এর আগের পাঁচটি রেলওয়ে সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং এগুলো যাত্রী ও পণ্য চলাচলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ঢাকায় রেল ভবন থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা; অন্যদিকে, দিল্লির রেল ভবন থেকে যুক্ত হন ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান।