বুধবার বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে 'জন্মশতবর্ষ: রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
Published : 18 Feb 2025, 11:40 PM
অমর একুশে বইমেলার অষ্টাদশ দিনটি কেটে গেল অনেকটাই ঢিলেঢালাভাবে। অন্যান্য দিনের মতো এদিন ভিড়ও ছিল না মেলায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেলাপ্রাঙ্গণে অবশ্য কিছু স্টলে মোটামুটি ভিড় দেখা গেছে।
মেলায় ৮ বছরের সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন ধানমন্ডির বাসিন্দা বেসরকারি চাকুরে শফিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজকে সপ্তাহের মাঝদিকে হওয়ায় চাপ একটু কম। তাই ভাবলাম বাচ্চাটাকে নিয়ে একটু মেলায় আসি। ছুটির দিনের তুলনায় চাপ কম। ঘুরে স্বস্তি পাচ্ছি।”
মঙ্গলবারও যথারীতি মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।
মেলায় এসেছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাইসা ইসলাম।
বান্ধবীদের নিয়ে আসা এই তরুণী বলেন, “মেলায় এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো এলাম। আজ একটু ভিড় কম মনে হচ্ছে। ঘুরতে বেগ পেতে হচ্ছে না। জনসমাগম বেশি হলে একটু ঝামেলা হয়ে যায়। তবুও, মেলায় বেশি মানুষ না এলে ঠিক মেলা মনে হয় না।”
বাংলা একাডেমির তথ্য কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার মেলায় নতুন বই এসেছে ৭৯টি।
বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় 'বেলাশেষের শহীদ কাদরী' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তারানা নূপুর। আলোচনায় অংশ নেন শামস আল মমীন এবং আহমাদ মাযহার।
আর সভাপতিত্ব করেন কালের কন্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ।
তারানা নূপুর বলেন, “বাংলা কবিতায় শহীদ কাদরী সমকালতাড়িত, সংবেদনশাসিত, স্বল্পপ্রজ এবং সত্যসন্ধিৎসু একজন কবি। জীবন ও শিল্পে তিনি অবৈষয়িক, আপাদমস্তক নাগরিক এবং শেষপর্বে বিশ্বনাগরিক।”
সমকাল ও চলমান বাস্তবতার মধ্যে নিজের অস্তিত্ব ও কথামালাই শহীদ কাদরীর কবিতার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিলেও ফেলে আসা সময়ের জন্য দীর্ঘশ্বাসগুলো কবি লুকাতে পারেননি। তিনি স্বেচ্ছায় তার শতকের সীমাকে বরণ করেছেন জীবনাদর্শে ও কবিতায়।”
সভাপতির বক্তব্যে হাসান হাফিজ বলেন, “বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল ও প্রতিভাবান কবি শহীদ কাদরী স্বতন্ত্র কাব্যভাষা নির্মাণের ক্ষেত্রে একজন পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন। তার কবিতার বিষয় ও আঙ্গিক উভয়ই সমান গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা কাব্যজগতে তার কবিতা নিঃসন্দেহে চিরস্থায়ী আসনে অধিষ্ঠিত থাকবে।”
‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি হাসান হাফিজ এবং গবেষক খান মাহবুব।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি মো. ফজলুল হক এবং কবি আশিকুল কাদির।
মঙ্গলবার বইমেলায় ছিল মো. মিজানুর রহমানের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা' এবং সবুজ শামীম আহসানের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'কৃষ্টিবন্ধন'-এর পরিবেশনা।
সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী নোশিন তাবাসসুম স্বরণ, মো. মমিনুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, মো. আলতাফ হোসেন, রুশিয়া খানম, আজিজুল হক খান।
বুধবার বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে 'জন্মশতবর্ষ: রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জুলফিকার শাহাদাৎ। আলোচনায় অংশ নেবেন শাহাবুদ্দীন নাগরী। সভাপতিত্ব করবেন সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।