বাতেনের সুনামগঞ্জে ১০০ শতাংশের বেশি জমি জব্দ এবং ৪টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকা ও এনআরবিসি ব্যাংকের ১টি হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
Published : 12 Feb 2025, 05:01 PM
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে সুনামগঞ্জে ১০০ শতাংশের অধিক জমি জব্দ ও অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ৪টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকা ও এনআরবিসি ব্যাংকের ১টি হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, ডিআইজি আব্দুল বাতেন ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজে ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন।
অনিয়মের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে।
দুদকের আরেকটি আবেদনে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. হুজ্জত উল্লাহের ফ্ল্যাটসহ স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন একই বিচারক।
তার এসব সম্পদের মূল্য দেখানো হয়েছে ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ১১৭ টাকা।
দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, আবেদনে বলা হয়েছে, হজ্জত উল্লাহ দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে এক কোটি ৯০ লাখ ১২ হাজার ৭০৫ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, তিনি আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৯৩ লাখ ৯২ হাজার ৭০৫ টাকার সম্পদ ভোগ দখলে রেখেছেন। এতে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
তদন্তে জ্জত উল্লাহর অবৈধ সম্পদ সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে না পারায় তার নামে থাকা ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ১১৭ টাকার স্থাবর সম্পদ যাতে হস্তান্তর করতে না পারেন সেজন্য তা জব্দের আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন