রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জের ধরে কোটা সংস্কার আন্দোলন আরও গতি পেয়েছিল।
Published : 13 Aug 2024, 03:09 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের এলাকা রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন ও সেখানকার পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী ‘জনস্বার্থে’ তাদেরকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে আদেশে।
ওই ধারায় বলা আছে, “কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূর্ণ হইবার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করিলে কোনোরূপ কারণ না দর্শাইয়া তাহাকে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবে।”
ডিআইজি পদমর্যাদার ১৮তম বিসিএসের কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছেন। আর ১৭তম বিসিএসের কর্মকর্তা বাতেন এর আগে রাজশাহী রেঞ্জ, ঢাকা মহানগর পুলিশসহ বিভিন্ন স্থানে নানা দায়িত্ব পালন করেছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ জুলাই দুপুরে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটকের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়াধায়ি হয়। তখন পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষ বাধে শিক্ষার্থীদের। তাতে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাঈদসহ বেশ কয়েক শিক্ষার্থী ও পুলিশ আহত হয়।
আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজে নেওয়া হলে গুলিবিদ্ধ আবু সাঈদের মৃত্যু আগেই হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। তার মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে কোটা সংস্কার আন্দোলন আরও গতি পায়, ওই আন্দোলনের সূত্র ধরে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে।
শনিবার রংপুরের পীরগঞ্জে আবু সাঈদের বাড়িতে গিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আবু সাঈদ এখন ঘরে ঘরে... বাংলাদেশে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সবারই সন্তান সে।”