মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতারণা: দোষ স্বীকার করে সাজা কমালেন ৮ জন

তাদের জরিমানা করা হয়েছে; পাশাপাশি হাজতবাসের সময়কে কারাদণ্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2023, 03:51 PM
Updated : 17 May 2023, 03:51 PM

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণার চক্রের আটজনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাজা দিয়েছে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আসামিদের স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলার রায় দেন।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম সাংবাদিকদের জানান, মামলাটি এদিন অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য তারিখ ধার্য ছিল। দোষ স্বীকার করলে সাজা কম হবে জেনে আসামিরা দোষ স্বীকার করেন।

দণ্ডিতরা হলেন- ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার চর ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের হারুন মুন্সির ছেলে রিফাত মুন্সি ও রাজ্জাক মোল্লার ছেলে ফরহাদ মোল্লা, সিঙ্গাইর গ্রামের আয়নাল খলিফার ছেলে সাগর খলিফা, ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের সুনীল ভদ্রের ছেলে নিসাত ওরফে নিসাদ, একই জেলার সদরপুর থানার জলদু মুন্সির ছেলে বাবু মন্সি, ফজলু মোল্লার ছেলে জাহিদ মোল্লা, জঙ্গলপাশা গ্রামের হাবিবুর রহমান খানের ছেলে শামীম খান ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার ডুরাইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সিপন হোসেন।

আইনজীবী নজরুল বলেন, “আদালত প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। আসামিদের কাছ থেকে জব্দ হওয়া ২ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আসামিদের মধ্যে ঘটনার সময় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির হাজতবাসের সময় কারাদণ্ড হিসেবে ঘোষণা করেন।”

মামলার নথি থেকে জানা যায়, আসামিদের মধ্যে রিফাত গ্রেপ্তারের পর প্রায় ৯ মাস, ফরহাদ, বাবু ও শামীম প্রায় ৩ মাস এবং সাগর প্রায় ২ মাস কারাগারে ছিলেন।

২০২১ সালের ৭ আগস্ট ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় দায়ের করা ওই মামলায় বলা হয়েছিল, ভাঙ্গার চর ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের রিফাত মুন্সির বাড়ির বারান্দার একটি কক্ষ আসামিরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করতেন। তারা গ্রাহকদের নম্বর সংগ্রহ করে নিজেদের বিকাশ ও নগদ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচয় দিয়ে অ্যাকাউন্ট সচল রাখার কথা বলে গ্রাহকদের নগদ ও বিকাশের গোপন পিন কোড নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করতেন।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানকালে আসামি রিফাত, বাবু, ফরহাদ, শামীম ও সাগর গ্রেপ্তার হন। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার ২ লাখ ৮০ হাজার পাঁচশ টাকা এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২৫টি মোবাইল সিম জব্দ করা হয়।

মামলাটি তদন্তের পর একই থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. আবুল কালাম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।