গুলিতে ছাত্রদল নেতা নিহত: বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি আসকের

মিছিল লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি চালালে নয়ন গুলিবিদ্ধ হন বলে সংবাদ প্রতিবেদনের বরাতে জানাচ্ছে মানবাধিকার সংস্থাটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2022, 01:39 PM
Updated : 20 Nov 2022, 01:39 PM

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ‘পুলিশের গুলিতে‘ ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়নের মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

রোববার বেসরকারি এ মানবাধিকার সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

শনিবার বিকালে বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে নয়ন গুলিবিদ্ধ হন; পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

পুলিশের গুলিতে নয়নের মৃত্যু হয়েছে বলে ছাত্রদল দাবি করলেও পুলিশ তা নিশ্চিত করেনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম শনিবার বলেছিলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়। তবে নয়ন কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিহত নয়ন বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ সভাপতি এবং ওই ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে। তিনি বাঞ্ছারামপুর ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাতে আসক বলছে, আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার বিকালে উপজেলা সদর এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করেন।

“প্রচারপত্র বিতরণ শেষে উপজেলা সদরে মোল্লা বাড়ি থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিল লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি চালালে নয়ন গুলিবিদ্ধ হন।”

ছাত্রদল নেতা নয়নের ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিচার দাবি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগের ঘটনায় আসক তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছে।”

আসক বলছে, শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ করা যেকোনো রাজনৈতিক দল কিংবা নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার এবং মৌলিক মানবাধিকার; যা অন্যান্য অধিকারগুলো পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

“এক্ষেত্রে বাধা দেওয়া কিংবা বল প্রয়োগ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।”

শান্তিপূর্ণভাবে সভা সমাবেশ করে মত প্রকাশ করার অধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয় এবং এক্ষেত্রে বিদ্যমান মানদণ্ডের যেন ব্যত্যয় না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি।