র্যাব কর্মকর্তা মঈন বলছেন এই চক্রের সদস্যরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে রাজধানীতে চোরাই মোবাইলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল।
Published : 02 Apr 2024, 02:44 PM
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব বলছে, ওই চক্রটি ঢাকার চোরাই মোবাইলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলছেন, গত পাঁচ বছরে প্রায় বিশ হাজার মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করেছে ওই চক্রটি।
গ্রেপ্তাররা হলেন-হাফিজুর রহমান (৩৫), রনি আহমেদ ইমন (২৯), জসিম উদ্দিন (৩৫), জামাল উদ্দিন (৫০), আবুল মাতুব্বর ওরফে রাজু (৪২), আহম্মেদ আলী (৩৫), মো. কামাল (৪০), মো. বাপ্পী (২৯), আবিদ হোসেন সনু (৩৮), রবিন ভূইয়া (২১), আরিফুল ইসলাম (২২), ইব্রাহিম মিয়া (৪০), মো. সুজন (২৯), মো. দোলোয়ার (৩৩), আব্দুর রহমান (১৯), মো. রাজু (২৭), জিহাদ হোসেন (২৪), মো. মুনাইম (৩৮), মো. রাজু (৪৫) এবং রফিক (৩৮)।
র্যাব বলছে, এই বিশজনের মধ্যে দেলোয়ার গুলিস্তান এলাকার এবং আবুল মাতুব্বর মোহাম্মদপুর এলাকার চোরাই মোবাইল বাজারের ‘অন্যতম গড ফাদার’ এবং আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনের কারিগর।
সোমবার ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন জানান।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই অভিযানে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ৯০০ মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
“এই চক্রের সদস্যরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে রাজধানীর মোবাইল চোরাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাজ করে তারা। এদের মধ্যে কেউ চোর, কেউ ছিনতাইকারী। কেউ আবার ফোনের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তে এক্সপার্ট। আবার কেউ আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনকারীদের মধ্যে যোগাযোগের কাজটি করেন।
"দেলোয়ার এবং আবুল মাতুব্বর মাত্র ৪ থেকে ৫ সেকেন্ডের মধ্যে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করার দক্ষতা রয়েছে।"
এই চক্রটি মূলত অ্যান্ড্রয়েড ফোন নিয়ে কাজ করে জানিয়ে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, “তারা আইফোনের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করা, বিক্রি করা একটা ঝামেলা মনে করে। তাদের কাছে আইফোন এলও তারা সেটা অন্য আরেকটি চক্রের বিক্রি করে দেয়।“