কুয়াশা কেটে রোদের দেখা রাজধানীতে, শীত কমেছে

১০ জানুয়ারির পর থেকে উত্তরের জেলাগুলোয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

আগের দুইদিনের কুয়াশার চাদর সরিয়ে শনিবার সকাল বেলাতেই সূর্যের দেখা মিলেছে রাজধানীতে।

বাতাসের গতিও আগের দিনেরে চেয়ে তুলনামূলক কমায় শীতের অনুভূতিও কমেছে।

শনিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা এবং সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। কিছু এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

ভোর ছয়টায় ঢাকা ও আশপাশের জেলার তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনে তা সর্বনিম্ন ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াতে নামতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

জানুয়ারি মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়ছে, চলতি মাসে দেশে এক থেকে দুটি মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে এক থেকে দুটি মাঝারি থেকে তীব্র এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় দুই থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে কুয়াশা কেটে শৈত্যপ্রবাহ দাপট দেখাতে পারে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ।

তিনি বলেন, “দুই তিনদিন পর কুয়াশা কেটে গেলে রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ কমে শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।জানুয়ারির ৬ থেকে ৭ তারিখের পর রাতের তাপমাত্রা কমে ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে আসতে পারে।“

আগামী ১০ জানুয়ারির পর থেকে তীব্র শীতের মধ্যে দেশের উত্তরের জেলা অর্থাৎ রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম অঞ্চলে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

সকালে আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

এই সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিনের বেলায় শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে বলেও বুলেটিনে জানানো হয়েছে।

সাধারণত কোনো স্থানে তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে সেখান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়।