এ কমিটিকে চার মাসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।
Published : 04 Mar 2024, 02:04 PM
ঢাকা শহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন-স্থাপনায় পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা আছে কিনা, আইন-বিধি অনুসারে প্রয়োজনীয় অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি করে দিয়েছে আদালত।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে ওই কমিটিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ -রাজউক এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের প্রতিনিধিদের রাখতে বলা হয়েছে।
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে এ কমিটিকে চার মাসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।
সেই সঙ্গে ঢাকায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের চিহ্নিত ‘অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ’ আবাসিক, বাণিজ্যিক ভবন-স্থাপনার সামনে দৃশ্যমান জায়গায় ‘সতর্কতা নোটিস’ টাঙিয়ে দিতে বলেছে হাই কোর্ট।
রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় জনস্বার্থে করা দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন, ২০০৩ ও বিধি অনুসারে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ার নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ -রাজউক চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ বিবাদীদের এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনকারী দুই আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ ও ইসরাত জাহান সান্ত্বনা নিজেরাই আবেদনের ওপর শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের প্রাণ যায়। আরও কয়েকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রোববার রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইসরাত জাহান সান্ত্বনা।
তার আবেদনে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আদালতে দাখিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ রাজধানীর বেইলি রোডসহ সকল আবাসিক স্থাপনায় রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে আলাদা রিট আবেদন করেন। বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার ও আহত-নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয় সেখানে। এছাড়া বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয় এই রিট আবেদনে।
পুরনো খবর
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে রিট মামলা