রাষ্ট্রদূত বলেন, “দুই নেতার মধ্যে রসায়ন আমি দেখেছি। দারিদ্র্য দূরীকরণ, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সব কিছু এই সফরে খুব খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।”
Published : 16 Jul 2024, 11:51 PM
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেইজিং সফর ‘ব্যাপকভাবে সফল’ হওয়ার কথা বলেছেন ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
মঙ্গলবার চীনা দূতাবাসে ওই সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “অন্যদের সমালোচনার বিষয়ে মন্তব্য করা আমার আওতাধীন নয়। আমরা সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।
“আমাদের মূল্যায়ন হচ্ছে, এ সফর ব্যাপকভাবে সফল। পাশাপাশি যদি দুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন খেয়াল করে থাকেন, তাহলে দেখবেন আমাদের মূল্যায়ন অনেকটা প্রধানমন্ত্রীর মতই।”
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত সফরের দুই সপ্তাহ পর চীনের প্রধানমন্ত্রীর লি চিয়াংয়ের আমন্ত্রণে ৮ থেকে ১০ জুলাই বেইজিং সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চীনে এটি তার চতুর্থ সফর; এর আগে ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে দেশটিতে সফর করেন তিনি।
বেইজিংয়ে এই তিন দিনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং এর সঙ্গে বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ২১টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয় এবং সাতটি প্রকল্পের ঘোষণা আসে।
রোববার চীন সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, রেয়াতি ঋণ ও বাণিজ্যিক ঋণে আকারে চীন বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দিতে সম্মত হয়েছে।
১০ জুলাই বিকেলে বেইজিংয়ে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সে কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “২০১৬ সালে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্ব পর্যায়ে উন্নীত হয়, যা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন পর্যায়ে উন্নীত করে।”
ওইদিন সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “আমার এই সফর বাংলাদেশের কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।”
প্রধানমন্ত্রীর তিন দিনের ওই সফরের সমালোচনা করে সরকার বিরোধীদের কেউ কেউ বলেছেন, শি জিনপিংয়ের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক ছিল ‘মাত্র ত্রিশ মিনিটের’।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমাদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। আমি আপনাকে বলতে পারি, আমি সেখানে ছিলাম। বৈঠকটা হয়েছে প্রায় এক ঘণ্টা।”
মাত্র আধা ঘণ্টা বৈঠক চলার তথ্যকে ‘আজগুবি’ আখ্যা দিয়ে ইয়াও ওয়েন বলেন, “দুই নেতার মধ্যে রসায়ন আমি দেখেছি। দারিদ্র্য দূরীকরণ, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সব কিছু এই সফরে খুব খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।”