আবুল কালাম আজাদকে শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
Published : 06 Oct 2024, 04:24 PM
বিএনপির মহাসমাবেশে হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহতের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
রোববার তাদেরকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এসআই তন্ময় কুমার বিশ্বাস।
আবুল কালামের রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী এ এম এ রাজ্জাক। হুমায়ুন কবিরের জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে দুইজনের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান।
আবুল কালাম আজাদকে শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টন এলাকায় মহাসমাবেশ করে বিএনপি। ওই দিন ঢাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও সমাবেশ করে। আর মতিঝিলে সমাবেশ করে জামায়াতে ইসলামী।
নির্বাচনের আগ দিয়ে পাল্টাপাল্টি সমাবেশের সেই দিন কাকরাইল-পল্টন এলাকায় বিএনপি-আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের মধ্যে যুবদল নেতা শামীমের প্রাণ যায়।
এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানার মামলায় সোমবার গ্রেপ্তার দেখানো হয় ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুলতান মনসুরকে। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হওয়ার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগের পাল্টা সমাবেশের কারণে রাজধানীতে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেদিন দুপুরে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাজির হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা বিএনপির মহাসমাবেশে আক্রমণ চালায়।
এজাহারে বলা হয়, “আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিএনপির সমাবেশে আক্রমণ করে এবং নেতাকর্মীদের গুরুতরভাবে আহত ও হত্যার চেষ্টা চালায়। তাদের হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন এবং শতাধিক বিএনপি কর্মী আহত হন।”