সভায় চলতি বছর বাংলা একাডেমির ষাম্মানিক ফেলোশিপ ও ছয়টি পুরস্কারের বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়।
Published : 28 Dec 2024, 11:38 PM
বার্ষিক সাধারণ সভা ঘিরে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ অতিথিদের সমাগম আর নানা আয়োজনে পরিণত হল এক মিলনমেলায়।
দেশে-বিদেশে থাকা বাংলা একাডেমির ফেলো, জীবন সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা শনিবার এসেছিলেন একাডেমি প্রাঙ্গণে। এ বছর বাংলা একাডেমির ষাম্মানিক ফেলোশিপ ও ছয়টি পুরস্কার জয়ীরাও হাজির হয়েছিলেন।
গুণিজনদের সমারোহে কোলাহলপূর্ণ হয়ে ওঠে প্রাঙ্গণ। একে অপরে সঙ্গে তারা কুশল বিনিময় করেন, পারস্পরিক খোঁজখবরের পাশাপাশি নানা আলাপে মেতে ওঠেন।
সকালে শিল্পী ফেরদৌস আরার নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সুরসপ্তক’ এর পরিবেশনায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও বাংলা একাডেমির পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সাধারণ পরিষদের ৪৭তম বার্ষিক সধারণ সভার (এজিএম) কার্যক্রম শুরু হয়। গত এক বছরে প্রয়াত গুণিজনদের স্মরণে শোকপ্রস্তাব পাঠ ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সভায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। একাডেমির সচিব মোহা. নায়েব আলী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট তুলে ধরেন। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
সভায় আনুষ্ঠানিক অন্যসূচির পাশাপাশি চলতি বছর বাংলা একাডেমির ষাম্মানিক ফেলোশিপ ও ছয়টি পুরস্কারের জয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বাংলা একাডেমির সাম্মানিক ফেলো সাইদুর রহমান বয়াতী এসেছিলেন মানিকগঞ্জ থেকে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "ভোর ৪টায় রওনা দিয়েছি, সকাল ৮টা থেকেই আছি বাংলা একাডেমিতে। প্রতি বছরই একাডেমির সাধারণ সভাতে আসার জন্য অপেক্ষা করি। এই জন্য এখানে এসে ভালো লাগে। এখানে অনেক গুণিজনের সঙ্গে দেখা হয়।”
বাংলা একাডেমির সাম্মানিক ফেলোশিপ ও ছয় পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, “সম্প্রতি আমরা একাডেমির গবেষণাগত পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আকর্ষণীয় গবেষণাবৃত্তি চালু করেছি, একাডেমির সেমিনারগুলোকে সাধারণ শ্রোতাবান্ধব করা গেছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত চর্চার নতুন ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে, একাডেমির সমস্ত প্রকাশনা ডিজিটাইজড করার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
”একাডেমির প্রকাশনার ক্ষেত্রেও সংখ্যাগত বৃদ্ধির চেয়ে গুণগত মান নিশ্চিতের দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।”
একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম বলেন, “নানা বিষয়ে নানা সময়ে একাডেমি প্রতিকূলতার মোকাবেলা করেছে, আবার তাকে অস্তিত্বের প্রয়োজনে হয়ত নীতির প্রশ্নে নমনীয়তাও দেখাতে হয়েছে। আমরা আশা করি একাডেমিকে ঘিরে দেশবাসীর যে বিপুল প্রত্যাশা, সবার সহযোগিতায় আমরা তা পূরণে সক্ষম হব।”