সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা হয়েছে।
Published : 14 May 2024, 09:32 PM
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মজিবুর রহমান সিকদারের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সোয়া এক কোটি টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
সংস্থার উপপরিচালক জেসমিন আক্তার মামলাটি দায়ের করেছেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, মজিবুর রহমান তার ঘোষিত সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ২৪ লাখ ৪ হাজার টাকার তথ্য গোপন করতে মৎস্য আয়ের ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করেছেন। আর ৪ কোটি ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৫২৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে।
এ কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং ২৬(২) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
দুদকে দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে মজিবুর তার মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ১২ কোটি ৮৬ লাখ দেখিয়েছেন।
এজাহারে বলা হয়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠলে দুদকে দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে তিনি ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। সেখানে তিনি কোনো দায়-দেনার তথ্য দেননি। তবে বিবরণী যাচাই করে তার স্থাবর, অস্থাবর সম্পদসহ পারিবারিক ব্যয় ব্যতীত ১২ কোটি ২ লাখ টাকার তথ্য পাওয়া যায়। অনুসন্ধানকালে তার ঘোষণার চেয়ে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকার সম্পদ বেশি পাওয়া যায়। ওই অর্থ তিনি গোপন করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, এলজিইডির এই অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী অবৈধ আয়কে বৈধ করার জন্য ১৮টি দলিলের মূলে চা বিক্রেতা, পান বিক্রেতা, মুদি দোকানদার, কাঠমিস্ত্রী, কৃষক ও প্রবাসী শ্রমিকদের থেকে ’হেবাবিল এওয়াজনামা’ দলিলের মাধ্যমে ২০৩ দশমিক ৫ শতাংশ জমি দান হিসেবে গ্রহণ করেন, যার দলিল মূল্য ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। দলিল দাতাদের সঙ্গে মজিবুর রহমানের রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই। এই আয় তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত।
তাছাড়া তিনি হেবা দলিলের আড়ালে কর ফাঁকি এবং জমি ক্রয়ের প্রকৃতমূল্য গোপন করেছেন।
মামলার এজাহারে ঘটনার সময়কাল হিসেবে ১৯৮০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে অর্জিত সম্পদের তথ্যের কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মজিবুর রহমানের বক্তব্য জানতে পারেনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।