সোশাল মিডিয়ায় মন্তব্য করা নিয়ে গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনে মনমত না হওয়ায় আগে থেকে ক্ষুব্ধ ছিলেন ওই কর্মকর্তা।
Published : 15 Jun 2024, 10:32 PM
রাজধানীর পরীবাগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর বাসার লিফটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে আরেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
’হত্যাচেষ্টার’ এ মামলার পর মারধরকারী কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তারে শাহবাগ থানা পুলিশের ’চেষ্টার’ মধ্যে এ কর্মকর্তার পদায়নের আদেশ বাতিল করা হয়েছে।
পরীবাগে মন্ত্রী আবদুর রহমানের বাসা থেকে নেমে আসার পর লিফটের মধ্যে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (লিভ, ডেপুটেশন অ্যান্ড ট্রেনিং রিজার্ভ) আজিজুলের বিরুদ্ধে মারধরের এ অভিযোগ আনেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মলয় কুমার শূর।
গত বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনার পর রাতেই তিনি শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন। এতে তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান পদায়নের আদেশ বাতিলের তথ্য দিয়ে বলেন, আজিজুলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না সে ব্যাপারে তিনি অবগত নন।
শনিবার শাহবাগ থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, মামলার পর থেকে আজিজুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি বাসায় নেই।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, রাজধানীর পরীবাগে মন্ত্রীর 'দিগন্ত টাওয়ার' নামের ভবনের লিফটে আজিজুল ইসলাম পরিচালক মলয় কুমারকে মারধর করেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, প্রশাসনিক কাজের জন্য প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমানের ডাকে তার বাসায় যান মলয় কুমার। কাজ শেষে লিফট থেকে নিচে নেমে এলে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা আজিজুল তার উপর হামলা চালায়।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, চিকিৎসার জন্য মন্ত্রী শুক্রবার ভোরে দেশের বাইরে গেছেন। তার আগের রাতের ঘটনা এটি।
”মন্ত্রী মহোদয় বেশ কয়েকদিন দেশের বাইরে থাকবেন। এজন্য কিছু দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য হয়ত মলয় কুমারকে ডেকেছিলেন।”
ঘটনার বিষয়ে মলয় কুমার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তদন্ত প্রতিবেদনে মনমত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন আজিজুল। পরে তার বিভাগীয় সাজাও হয়।
তার অভিযোগ, এরই মধ্যে আজিজুলের পদোন্নতি হওয়ার বিষয়টি নিয়মমাফিক না হওয়ায় মন্ত্রীর কাছে ব্যাখ্যা করে জানানো হয়। এ কারণেই আজিজুল পরিকল্পিতভবে এই হামলা চালিয়েছে।
হামলাকারী গ্রেপ্তার না হওয়ায় তিনি এখনও আতঙ্কের মধ্যে আছেন বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আজিজুলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বন্ধ পাওয়া যায়।