এক লাখ ১৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি জয় পেয়েছেন।
Published : 07 Jan 2024, 10:21 PM
দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১ আসনে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টাসালমান এফ রহমান জয়ী হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী পেয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৩০ভোট।
রোববার রাতে এ ফল ঘোষণা করেন নবাবগঞ্জ ও দোহারের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল ও জাকির হোসেন।
সালমান এফ রহমান ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্যের দায়িত্ব সামলিয়ে আসছেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন এবং দোহার উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১ আসনের ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৩ হাজার ৬০৯ জন।
এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪৩ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ১৬৩ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার তিনজন। এ আসনের ১৮৪টি কেন্দ্রে কক্ষ ছিল ১১৭২টি।
নৌকা ও লাঙ্গলের প্রার্থী ছাড়াও তৃণমূল বিএনপির মুফিদ খান সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৭৩ ভোট, ওয়ার্কার্স পার্টির করম আলী হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৪২ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আ. হাকিম আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৩০ ভোট, গণফ্রন্টের শেখ মো. আলী মাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৩১ ভোট এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির শামসুজ্জামান একতারা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫০৮ ভোট।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে আসন ভাগাভাগি হলেও ঢাকা-১ আসন উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল।
সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল মান্নান খানকে পরাজিত করে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম বাবুলের স্ত্রী সালমা, যিনি এখন কোম্পানির চেয়ারম্যান।
২০১৮ সালে মহাজোটের ভাগাভাগিতে এ আসনটি ছেড়ে দিতে হয় জাতীয় পার্টিকে। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জোটের প্রার্থী হন সালমান। দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সালমা।
ওই নির্বাচনেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় সালমান ও সালমার মধ্যেই। ৩ লাখ ২ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন নৌকার প্রার্থী সালমান। আর স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করে সালমা ইসলাম মোটরগাড়ি প্রতীকে পান ৩৭ হাজার ৭৬৩ ভোট পান।
ঢাকা-১ আসনের এমপি হতে না পারলেও পরে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হয়ে সংসদে যান সালমা।
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলেন নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসার আগে নিজের গড়া ‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আন্দোলন’ থেকে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ধানমন্ডি এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সালমান।
পরে ২০০১ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১ আসনে নৌকার টিকেটে নির্বাচন করে তিনি পরাজিত হন তার আত্মীয় তৎকালীন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার কাছে। প্রায় দেড় যুগ পর ২০১৮ সালে ফের ঢাকা-১ আসনে নির্বাচন করে বিজয়ী হন তিনি।