“কম্বল, টিন আগে কেন্দ্রীয়ভাবে বিতরণ করার প্রথা ছিল, যাতে অনেক সময় ক্ষেপণ হত। এখন মাঠ পর্যায়ে সংগ্রহ করে বিতরণ করবে।
Published : 17 Feb 2025, 04:49 PM
যে কোনো দুর্যোগে দ্রুত ত্রাণ তৎপরতা চালাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা ইউএনওদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
সোমবার ঢাকার ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের একটি সেশনে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে পুনর্বাসন, টিআর, কাবিখা, কাবিটা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। বরাদ্দের নিরিখে যেসব গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে সেগুলো নিবিড়ভাবে প্রতিপালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুনর্বাসন কাজের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে মালামাল হস্তান্তরের পুরনো নিয়ম বাতিলের তথ্য দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “কম্বল, টিন আগে কেন্দ্রীয়ভাবে বিতরণ করার প্রথা ছিল, যাতে অনেক সময় ক্ষেপণ হত। এখন মাঠ পর্যায়ে সংগ্রহ করে বিতরণ করবে। ইউএনওরা অন্যান্য কেনাকাটার মত এই কেনাকাটাগুলো করতে পারবে বলে আমরা ডিসিদের জানিয়ে দিলাম।”
তিনি বলেন, “স্থানীয় চাহিদার নিরিখে সংগ্রহ করে (এসব সামগ্রী) বিতরণ করা হবে। এ বিষয়ে তাদের ধারণা দেওয়া হয়েছে। যেন তারা যথাযথ স্পেসিফিকেশনের আলোকে টিন সংগ্রহ করে বিতরণ করেন। গৃহহীনদের গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো রকম বৈষম্য যেন না হয়।”
কেনাকাটার দায়িত্ব কেন মাঠ প্রশাসনকে দেওয়া হচ্ছে এবং এখানে প্রতিযোগিতামূলক কেনাকাটা হবে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয়ভাবে সংগ্রহের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক নয়, ইউএনওরা কিনবেন।
“আগে কেন্দ্রীয়ভাবে সংগ্রহ করতে গেলে একটা কনস্ট্যান্ট অবস্থার সৃষ্টি হয়। বিগত তিন বছর ধরে পণ্যগুলো সব একই জায়গা থেকে আসছে। যারা টিন উৎপাদন করে তারাও টেন্ডারে অংশ নিচ্ছেন না। ইউএনওরা তাদের নিড বেইজড কিনে নিতে পারলে দ্রুত বিতরণ করা যাবে। এজন্য টেন্ডার হবে না, পিপিআর ফলো করে কিনবেন।”
দুর্যোগ সচিব মো. কামরুল হাসান এ সময় বলেন, “কেন্দ্রীয়ভাবে কিনতে গেলে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করতে অনেক সময় লাগবে। বরাদ্দ আগের মতই প্রতি উপজেলায় তিন লাখ টাকা করে থাকবে।”