যেসব মামলা হয়েছে, তাতে আসামি করা সাংবাদিকদের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে তাদেরকে দ্রুত অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে সাংবাদিকদের সংগঠনটি।
Published : 18 Sep 2024, 11:24 PM
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে ও ঢালাওভাবে মামলায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে বলে মনে করে সংসদ নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
এসব মামলাকে ‘সরকারের প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন’ উল্লেখ করে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে সংগঠনটি ।
বুধবার ঢাকার বনানীতে বিপিজেএর এক সভায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিগত সরকারের সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ ‘নিবর্তনমূলক’ বিভিন্ন আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সাংবাদিকদের ‘কণ্ঠরোধের’ প্রয়াস চালানো হয়েছিল উল্লেখ করে সাংবাদিকরা বলেন, “বর্তমানে সাংবাদিকদের নামে এভাবে ক্রমাগত হত্যা মামলা দেওয়ার প্রবণতাও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে।”
যেসব মামলা হয়েছে, তাতে আসামি করা সাংবাদিকদের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে তাদেরকে দ্রুত অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বানও জানায় বিপিজেএ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অন্তর্বর্তী সরকার বাকস্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা প্রচলিত আইনের অপব্যবহারকে উৎসাহিত করে।”
সাংবাদিকেরা কোনো অপরাধ করে থাকলে বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ধারা অনুসরণ করে আইনি ব্যবস্থার মত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নৈতিকতাবিবর্জিত সাংবাদিকতা অবশ্যই বর্জনীয়। কোনো সাংবাদিক যদি সাংবাদিকতার নামে বিগত সরকারের ‘নিপীড়নমূলক’ কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিয়ে থাকেন তার বিরুদ্ধে প্রেস কাউন্সিলে একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত ও অনুসন্ধান করা যেতে পারে। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রেস কাউন্সিল আইনে তার সাজা হতে পারে।”
বিপিজেএর সভাপতি হারুন আল রশীদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মসিউর রহমান খান, অর্থ-সম্পাদক শরীফ খিয়াম আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক জেসমিন মলি, নির্বাহী কমিটির সদস্য- আজমল হক হেলাল, এমরান হোসাইন শেখ, সামসুদ্দিন আহমেদ, মো. সাইফুল্লাহ ও মিজানুর রহমান।