“আজ কিনতেছি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা করে। ঈদের দিন দাম আছিল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়।
Published : 18 Jun 2024, 09:49 PM
ঈদের দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিনে পুরান ঢাকার লালবাগের পোস্তায় চামড়ার দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে প্রথম দিনের তুলনায় চামড়া এসেছে কম।
মঙ্গলবার পোস্তার ব্যবসায়ী আনোয়ারুল ওহাব অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তারিক ইবনে আনোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ কিনতেছি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা করে। ঈদের দিন দাম আছিল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। প্রতিটি চামড়ায় ১০০ টাকা বেড়েছে।”
ঢাকায় পরপর তিন দিন কোরবানি দেওয়ার চল আছে। তুলনামূলক কম হলেও ঈদের দ্বিতীয় দিনও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কোরবানি হয়েছে রাজধানীতে।
ঢাকায় এবার ঢাকার বাইরে থেকে কাঁচা চামড়া আনা যাবে না বলে নির্দেশ এসেছে। তাই পোস্তায় ঈদের দিন চামড়া অন্য বছরের তুলনায় এসেছে কমেই।
এর পেছনে আরেকটি কারণ আছে। ব্যবসায়ীরা জানান, এখানকার আড়তের একটি বড় অংশ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সাভারের হেমায়েতপুরে। এ কারণেই পোস্তায় কম আসছে চামড়া।
হেমায়েতপুরেও একই দশা বলে জানিয়েছেন পোস্তার আড়তদার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, “আজ চামড়ার সংকট যাচ্ছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী চামড়া পাই নাই। হেমায়েতপুর ফোন দিয়ে জানলাম তাদের নাকি ১২ লাখ চাহিদা ছিল। কিন্তু পেয়েছে মাত্র ৪ লাখ।
“রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো থেকে উদ্যোগ নিয়েছে যে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় চামড়া যাবে না। যেখানের চামড়া সেখানেই সংগ্রহ করতে হবে। সেই হিসেবে বাহির থেকে ঢাকায় এবার চামড়া আসে নাই। ব্যবসায়ীদের চামড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা পূরণ হয় নাই।”
এবার লবণযুক্ত চামড়ার দাম বর্গফুটে ৫ টাকার মত বাড়িয়েছে সরকার।
ট্যানারি ব্যবসায়ীরা এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় কিনবেন; গত বছর এই দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম হবে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, গত বছর যা ৪৭ থেকে ৫২ টাকা ছিল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি বছর পশুর চামড়ার যে দর ঘোষণা করে, সেটি ট্যানারির জন্য। সেই দর পাইকারি বাজারে নির্দেশক হতে পারে, কিন্তু সেই বাজারে এই হিসাবে বিক্রি হয় না।
মাঝারি আকারের গরুতে ২০ থেকে ২৫ বর্গফুট চামড়া থাকে। পোস্তায় কাঁচা চামড়া কিনে সেগুলোতে লবণ মিশিয়ে বিক্রি করা হবে ট্যানারিতে। লবণ মেশানোতেও একটি খরচ আছে।
অবশ্য পোস্তা, হেমায়েতপুর বা অন্য কোনো আড়তে বর্গফুট হিসেবে চামড়া বিক্রি হয় না। তারা চোখের আন্দাজে চামড়া কিনে সেগুলোতে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে।
ব্যবসায়ীদের হিসাবে প্রতিটি চামড়ায় তাদের ২৯০ টাকার মত খরচ হয়। সেটি হিসাব করেই তারা চামড়া কিনে থাকেন।