ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
Published : 03 Dec 2024, 03:10 PM
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে চার পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার খবর দিয়েছে টেলিগ্রাফ।
পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে বলেছেন, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিন এসআইকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া একজন ডেপুটি এসপিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
“এই ঘটনায় নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স (এনসিসি) থানায় একটি স্বপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বিবিসি বাংলা লিখেছে, বাংলাদেশে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের সামনে সভা ছিল হিন্দু সংঘার্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের। সভা শেষে সংগঠনের ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল কার্যালয়ের ভেতরে যায় স্মারকলিপি জমা দিতে।
“এসময় বাইরে থাকা কিছু হিন্দু যুবক হঠাৎ বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিড়ে ফেলে- ঘটনাস্থল থেকে এমন কিছু ভিডিওচিত্র পাওয়া গেছে। পরে হাই কমিশন কার্যালয়ের কিছু সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে ও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা।”
পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ার ঘটনা ‘গভীর দুঃখজনক’।
“কোনো অবস্থাতেই কূটনৈতিক ও কনস্যুলার স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশন ও দেশের অন্যত্র উপ বা সহকারী হাই কমিশনগুলোর নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে সরকার।”
ওই হামলার ঘটনাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ হিসেবে অভিহিত করে এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘নিষ্ক্রিয়তার’ অভিযোগ এনেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সোমবারের এ ঘটনায় ‘ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া’ জানিয়ে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সব কূটনৈতিক মিশন ও সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
একই সঙ্গে এ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দেশটিতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোতে যাতে এমন সহিংসতামূলক ঘটনা না ঘটে সেজন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
টেলিগ্রাফ লিখেছে, ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেছেন, “প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে একদল যুবক আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন অফিসে ঢোকার চেষ্টা করে। আমি ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি।
“শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু এই ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।”