দুপুরের দিকে সাইন্সল্যাব মোড়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলেও সন্ধ্যার পরও লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা।
Published : 20 Nov 2024, 06:55 PM
ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘হাতাহাতির ঘটনা থেকে বাস ভাঙচুরের’ অভিযোগকে কেন্দ্র দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়েছেন।
বুধবার বেলা আড়াইটায় ঢাকার সাইন্সল্যাব মোড়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলেও সন্ধ্যা ৬টার পরও লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে অবস্থান করছিলেন শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষের মধ্যে সেখানে কিছু বাস ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীও রয়েছে।
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশসহ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘ছোট একটা হাতাহাতি ও গাড়ি ভাঙচুরের’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারি শুরু হয়।
“প্রথম দিকে পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করছিল। একপর্যায়ে পরিস্থিতি এমন সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠল যে শিক্ষার্থীদের হতাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা গেল। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
“এর মধ্যে সিটি কলেজের ছেলেরা এলাকা ছেড়ে গেলেও ঢাকা কলেজের ছেলেরা তাদের কলেজের সামনে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আবারও অবস্থান নিয়েছে।”
ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী ও একটি সংবাদমাধ্যমের কলেজ প্রতিনিধি মো. ওয়ালিদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকালে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো একটি ঘটনা নিয়ে হাতাহাতি হয়। দুপুর আড়াইটায় ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে দুটি বাস ছেড়ে সিটি কলেজের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। তখন সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ওই বাস দুটি ভাঙচুর করে। এ ঘটনার জেরে সংঘর্ষ শুরু হয়।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, দুপুর থেকে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টিয়ারশেল ছুড়েছে। সেনাবাহিনীও রয়েছে।
সংঘর্ষের মধ্যে আহত সিটি কলেজের শাহরিয়ার (২১) ও নূর হোসেন (২৪) এবং ঢাকা কলেজের মো. তুষার (১৮), অনিম (২১) ও নাজমুস সাকিব নামের পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঢাকা কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমার দুটি দাবি আছে। সিটি কলেজ কে সাইন্সল্যাব থেকে সরিয়ে নিতে হবে আর্মি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীর উপর আজকে যে মারধর করেছে, প্রধান উপদেষ্টাকে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। "
গত অক্টোবরের শেষ দিকে সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন কলেজটি শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনা নিয়ে জটিলতার মধ্যে কলেজটি দীর্ঘ ২০ দিন বন্ধ রাখার পর মঙ্গলবার থেকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু হয়। এর একদিন না যেতেই শিক্ষার্থীরা সংঘাতে জড়ালেন।